ব্যর্থতা, হতাশার অন্ধকারে ডুবতে থাকা মানুষও মোটিভেশনাল স্পিকার গৌরগোপাল দাসের কথা শুনে নতুন করে বাঁচার রসদ খুঁজে নেয়। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজ অনেকের কাছেই অত্যন্ত পরিচিত তিনি। নিশ্চিত বিলাসবহুল জীবন, লক্ষ টাকার চাকরি থেকে কেন বেছে নিয়েছিলেন সন্ন্যাসীর জীবন, কীভাবে উত্থান গৌর গোপাল দাসের আজ সেই বিষয়েই জানব আমরা।

১৯৭৩ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের ভাম্বোরিতে জন্মগ্রহণ করা গৌর গোপাল দাস আদতে ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়ারকাজ করেছেন বিশ্ব বিখ্যাত HP সংস্থাতেও। তবে ছোটবেলা থেকেই ঠিক আর পাঁচটা বাচ্চার মতো ছিলেন না গৌরগোপাল দাস। তিনি নিজেই বলেছেন, আমার বয়সী কিশোররা যখন খেলার মাঠে দাপটের সাথে খেলছে, তখন আমি খোলা আকাশের নিচে বসে ভাবতাম কেন আমরা এসেছি এই পৃথিবীতে? মানুষের জীবনের লক্ষ্য কী? শুধুই কি অর্থ উপার্জন মানুষের জীবনের লক্ষ্য হতে পারে?

পুনের কুসরো ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ও কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাশ করার পর পেয়ে যান মোটা বেতনের চাকরি। কিন্তু চাকরি জীবন ভাল লাগছিল না তাঁর। সেই যে ছোটবেলার প্রশ্ন, মানুষের জীবনের লক্ষ্য কী? তখনও কিন্তু সেই লক্ষ্যকেই খুঁজে বেড়াচ্ছেন গৌরগোপাল দাস।

এরকমই একটা সময় তিনি যুক্ত হন ইসকনের সাথে। সিদ্ধান্ত নেন চাকরি থেকে ইস্তফা দেবেন। চাকরি জীবন ছেড়ে মনোযোগ দেন ধর্ম ও প্রাচীন ভারত সম্পর্কে পড়াশোনার দিকে। এখন তো তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। ৮ থেকে ৮০, মন্ত্রমুগ্ধের মতো সবাই শোনেন সন্ন্যাসী গৌর গোপালের বক্তৃতা। অন্ধকার জীবনে আলোর ছটা এনে বহু মানুষের হৃদয়ে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছেন এই মানুষটি। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বলিউডের বিখ্যাত সেলিব্রিটি থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here