ডালে ভরপুর পুষ্টি থাকে। তাছাড়া ডাল খেতেও কিন্তু খুব সুস্বাদু। ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। তবে ডাল কিন্তু সঠিক সময়ে খাওয়া উচিৎ।

না হলে গ্যাস, হজমের সমস্যা হতে পারে। ভুল করেও এমন কিছু ডাল রয়েছে সেগুলি আপনি রাতে খেতে পারবেন না। এতে কিন্তু আপনার সেই সমস্যা বাড়তে পারে। আপনি ডাল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানেন?

ডাল খাওয়ার উপকারিতা

নিরামিষাশী ব্যক্তিদের জন্য ডাল খাওয়া খুব ভাল। যেহেতু তারা মাছ, মাংস, ডিম খান না। সেক্ষেত্রে তাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হতে পারে। তবে তারা যদি নিত্যদিন ডাল খান, তাহলে তাদের প্রোটিনের ঘাটতি কখনোই হবে না। ডাল খেলে ওজন কমবে। এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন থাকে। যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া যারা ডায়াবেটিস রোগী তারা ডাল খেতে পারেন। মুসুর ডালে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বকের জন্য খুব ভাল।

রক্তাল্পতা দূর হবে

তাছাড়া ডাল খেলে শক্তি পাবেন। রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে ডাল। যা খেলে লিভার, কিডনি ভাল থাকে। এমন কি নিয়মিত যে ব্যক্তি ডাল খান, তাদের শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়।

কী কী গুণ রয়েছে

ডালের অনেক গুণ রয়েছে, তবে সঠিক সময় খাওয়া উচিৎ। বিকেলে ডাল খাওয়া উপকারী। এসময়ে আপনার হজম ভাল হবে। শরীরের শক্তিও পাবেন। রাতে হালকা জাতীয় ডাল খাবেন। ভারী ডাল খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এতে অ্যাসিডিটি, পেট খারাপ, পেটে ব্যথার মতন সমস্যা হতে পারে।

কোন ডাল রাতে খাবেন

রাতে আপনি কখনই অড়হর ডাল খাবেন না। রাতে এই ডাল খেলে আপনার হজমের সমস্যা হবে। পেট ফেঁপে থাকবে। অ্যাসিডিটির সমস্যা হবে। গ্যাসের সমস্যা হবে।

মুসুরির ডাল

আবার মুসুরির ডাল রাতে খেয়ে শুলে আপনার নাক ডাকার সমস্যা হবে, শ্লেষ্মার সমস্যা হবে, সর্দি -কাশি বাড়তে থাকবে। এটি খেলে পেট ভার থাকবে। হজম করতে পারবেন না।

এগুলি রাতে খাওয়া ভাল

যদি আপনি রাতে ডাল খেতে চান, তাহলে মুগ ডাল, ছোলার ডাল, মটর ডাল খেতে পারেন। তবে পরিমাণে অল্প খাবেন। হালকা মুগডাল খেতে পারেন। এটি খুব ভালো হজম হবে। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে। অল্প পরিমানে ছোলার ডাল খেলে কোনও ক্ষতি হয় না। তবে বেশি পরিমাণে খাবেন না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here