১৬ নভেম্বর শনিবার মধ্যরাত ২টো ৫৮ মিনিটে মার্গশীর্ষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথি শুরু হয়েছে। এই মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে শেষ হবে। অগ্রহায়ণ মাস শেষ হবে ১৫ ডিসেম্বর রবিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে। যেহেতু এটি শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় মাস, তাই শাস্ত্রে অগ্রহায়ণ মাসে যমুনা নদীতে স্নান করার নিয়ম উল্লেখ আছে। এতে সব ধরনের ত্রুটি দূর হয়। এই মাসের শেষ দিনে অর্থাৎ পূর্ণিমায় চাঁদ মৃগাশিরা নক্ষত্রে অবস্থান করে। তাই একে মার্গশীর্ষ বলা হয়।
আগাহান মাসের উভয় একাদশী, বিশেষ করে অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীকে বলা হয় উৎপন্ন একাদশী। কিংবদন্তি অনুসারে, এই তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর কাছ থেকে একাদশীর আবির্ভাব হয়েছিল। তাই একে উৎপন্ন বলা হয়। একই সঙ্গে শুক্লপক্ষের একাদশীকে মোক্ষ প্রদানকারী মনে করা হয়। পুরাণ অনুসারে, এই তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে গীতা পাঠ করেছিলেন। তাই এই তারিখে গীতা জয়ন্তী পালিত হয়। সুখ-সমৃদ্ধির জন্য শঙ্খ ও লক্ষ্মী পূজার প্রথা রয়েছে এই মাসে। আগান মাসে যে কোনো শঙ্খকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পাঁচজন্য শঙ্খ হিসেবে গণ্য করে পূজা করা হয়। এতে কৃষ্ণ সন্তুষ্ট হন। এছাড়া এই মাসে দেবী লক্ষ্মীরও পূজা করা উচিত।
জেনে নিন শুভ দিনগুলি সম্পর্কে
- ১৬ নভেম্বর বৃশ্চিক সংক্রান্তি
- ১৮ নভেম্বর গণধিপ সংকষ্টী চতুর্থী
- ২২ নভেম্বর কালভৈরব জয়ন্তী
- ২৩ নভেম্বর কালাষ্টমী
- ২৬ নভেম্বর উৎপন্ন একাদশী
- ২৮ নভেম্বর প্রদোষ ব্রত
- ২৯ নভেম্বর মাসিক শিবরাত্রি
- ৩০ নভেম্বর দর্শ অমাবস্যা
- ০৬ ডিসেম্বর বিবাহ পঞ্চমী
- ০৭ ডিসেম্বর চম্পা ষষ্ঠী
- ০৮ ডিসেম্বর ভানু সপ্তমী
- ১ ১ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী এবং মোক্ষদা একাদশী
- ১ ২ ডিসেম্বর মৎস্য দ্বাদশী
- ১ ৩ ডিসেম্বর প্রদোষ ব্রত
- ১ ৪ ডিসেম্বর দত্তাত্রেয় জয়ন্তী
- ১ ৫ ডিসেম্বর ধনু সংক্রান্তি এবং মার্গশীর্ষ পূর্ণিমা
শঙ্খকে দেবী লক্ষ্মীর ভাই মনে করা হয়। এই কারণে লক্ষ্মীপূজাতেও শঙ্খ বিশেষভাবে রাখা হয়। দেবী লক্ষ্মী ও শঙ্খের পূজা করলে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। এই মাসে শ্রী কৃষ্ণকে প্রতিদিন শিশুরূপে পূজা করতে হবে। অগ্রহায়ণ মাসে সূর্য দেবতার পূজার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। শাস্ত্রে বলা আছে এই মাসের রবিবার উদীয়মান সূর্যকে জল অর্পণ করলে সকল প্রকার দোষ ও পাপ দূর হয়। এতে করে রাশিফলের গ্রহ-নক্ষত্রের অশুভ প্রভাব কমে যায়।
মার্গশীর্ষ মাসে কী করবেন আর কী করবেন না?
দান করুন এবং নদীতে স্নান করুন।
রূপো দান ফলদায়ক।
আমিষ খাদ্য গ্রহণ করবেন না।
অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করবেন না।
জিরা সেবন করবেন না।