জ্যোতিষশাস্ত্রে নবগ্রহ এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত রত্নগুলির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে গ্রহগুলির শুভতা বাড়াতে এবং তাদের অশুভতা কমাতে রত্ন পরিধান করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে প্রতিটি গ্রহই কোনও না কোনও রত্নকে প্রতিনিধিত্ব করে। পোখরাজ এই রত্নগুলির মধ্যে একটি। এ সম্পর্কে আপনারা সবাই নিশ্চয়ই শুনেছেন। জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে বৃহস্পতি গ্রহ দেবগুরু। তাঁর প্রতিনিধিত্ব করে পোখরাজ। কুণ্ডলীতে বৃহস্পতির দুর্বলতার কারণে এই পাথরটি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে পোখরাজ পরারও অনেক নিয়ম রয়েছে।
বৈজ্ঞানিকভাবে, পোখরাজ পাথরের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এতে অ্যালুমিনিয়াম, হাইড্রক্সিল এবং ফ্লোরিনের মতো উপাদান রয়েছে। এই খনিজ পাথরটি সাদা এবং হলুদ উভয় রঙেই পাওয়া যায়। জ্যোতিষশাস্ত্রে সাদা পোখরাজকে সেরা বলে মনে করা হয়। পোখরাজ রত্নপাথরের আরও একটি বৈচিত্র পাওয়া যায় যা উপপাথর নামে পরিচিত। এই উপপাথরগুলি পোখরাজের মতো সুবিধা দিতে পারে না, তবে তাদের আংশিক প্রভাব রয়েছে। তবে বেশি সময় ধরে পরে থাকলে সেগুলি থেকেও পোখরাজের উপকার পাওয়া যায়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যে ব্যক্তির রাশিতে বৃহস্পতি দুর্বল, সেই ব্যক্তি পোখরাজ পরতে পারেন। পোখরাজ পরলে দাম্পত্য জীবনে আসা সমস্যা দূর হবে, সন্তানের সুখ, স্বামীর সুখ পাওয়া যাবে। তবে পোখরাজ পরার আগে একজন বিদগ্ধ জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।