ছুটির দিন হোক বা এমনই দিন প্রায় বাড়িতে মাংস হয়ে। আর এই একই পদ খেয়ে একঘেয়ে লাগছে? একবার খেয়ে দেখতে পারেন উত্তরপ্রদেশের এই বিখ্যাত পদ। এই পদ মাংস দিয়েও বানানো যায়, আবার সব্জি দিয়েও। যদি মাছ বা মাংস খেতে মন না চায়, তা হলে নানা রকম সব্জি দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু তেহারি। বাসমতী চালের পরতে পরতে কেওড়া জলের সুগন্ধে জমে যাবে নৈশাহার।

উপকরণ

সব্জি পছন্দমতো- গাজর, বিন্‌স, মটরশুঁটি

রসুন: ৮ কোয়া (বাটা)

আদা বাটা ২চা চামচ

কাঁচা লঙ্কা: ১৫-২০টি

ঘন দই: ১ কাপ

জায়ফল, জয়িত্রী গুঁড়ো: ১ চা চামচ

দারচিনি স্টিক: ৩টি

ছোট এলাচ: ৪টি

লবঙ্গ: ৪টি

তেজপাতা: ২টি (বড়)

গোটা গোলমরিচ: ১০-১২টি

জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ

লাল লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ

গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ

লেবুর রস: ৩ চামচ

সর্ষের তেল: আধ কাপ

ভাত রান্নার জন্য

বাসমতী চাল ৩ কাপ, ঘি, ছোট এলাচ ৩টি, লবঙ্গ ৩টি, তেজপাতা ২টি

গোটা গোলমরিচ ৬-৮টি, কেওড়া জল ১ চা চামচ, নুন স্বাদ মতো

প্রণালী

প্রেসার কুকারে সর্ষের তেল গরম করুন। দারচিনি, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা, গোটা গোলমরিচ ফোড়ন দিন। সুন্দর গন্ধ বেরোলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নুন ও চিনি ছড়িয়ে দিন। পেঁয়াজ নেড়ে সোনালি করে ভেজে নিয়ে বাকি আদা-রসুন বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না রসুনের কাঁচা গন্ধ দূর হয়। এ বার সমস্ত সব্জি দিয়ে ঢিমে আঁচে রান্না করুন। তেল ছেড়ে আসছে দেখলে ২ কাপ জল দিয়ে প্রেসার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করুন। সব্জি সিদ্ধ হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন।

চাল আধ ঘণ্টার মতো ভিজিয়ে রাখলে ভাল হয়। তার পর একটি পাত্রে ঘি গরম করে তাতে দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা, গোলমরিচ ফোড়ন দিন। আধ মিনিট নেড়ে নিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিন। হালকা সোনালি করে ভেজে আদা-রসুন বাটা দিয়ে দিন। এক মিনিট নেড়ে চাল দিয়ে দিন। চাল কিছুক্ষণ ভাল করে নেড়ে নিন যাতে ঝরঝরে হয়। এ বার চালের দ্বিগুণ পরিমাণ জল দিন। আন্দাজ মতো নুন দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।জল ফুটতে শুরু করলে তাতে রান্না করে রাখা সব্জি দিয়ে দিন। উপরে কেওড়া জল ও কাঁচা লঙ্কা ছড়িয়ে দিন। আঁচ একদম কমিয়ে চাপা দিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে পাত্রের মুখ ভাল করে মুড়ে দিন। ৪৫ মিনিট দমে রান্না করে আঁচ বন্ধ করুন। পরিবেশন করার সময় লেবুর টুকরো, শসা ও রায়তা দিয়ে পরিবেশন করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here