আমরা অজান্তেই অনেক কিছু ফেলেদি। তবে সেগুলি যে কত উপকার করতে পারে সে বিষয় কারও ধারণা নেই। যেমন খিচুড়ি হোক কিংবা তরকারি, রান্নায় মিষ্টি কুমড়ো পড়লে স্বাদ হয় জমজমাট। রান্নায় মাখা মাখা ব্যাপার আনতে কুমড়ো সত্যিই অনবদ্য। ফুলকো লুচির সঙ্গে মিষ্টি মিষ্টি তরকারি খেতে ইচ্ছা হলে, আলু-কুমড়োর ছেঁচকির বিকল্প নেই। বাঙালির হেঁশেলে কুমড়োর কদর থাকলেও, ব্রাত্য এর বীজগুলি। খোসার সঙ্গে কুমড়োর বীজেরও জায়গা হয় আবর্জনার বালতিতে। কিন্তু কুমড়োর বীজে লুকিয়ে ভরপুর স্বাস্থ্যকর উপাদান। প্রোটিন থেকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ম্যাগনেশিয়াম, জ়িঙ্ক, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থেকে শুরু করে নানা উপাদান— মোটা কথা কুমড়োর বীজ হল পুষ্টির উৎস। হাতের কাছে এমন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার থাকতেও, হেলায় হারানো সত্যিই বোকামি। কুমড়োর বীজ ফেলে না দিয়ে যদি নানারকম ভাবে খাওয়া যায়, তা হলে ওষুধ খরচ অনেক বেঁচে যাবে। কী ভাবে খেতে পারেন কুমড়োর বীজ?
স্যালাডে
ওজন কমাবেন বলে রোজ স্যালাড খাচ্ছেন। তবে এই স্যালাড আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে, যখন এর সঙ্গে মিশিয়ে নেবেন কুমড়োর বীজ। শীতকালীন সব্জি, অল্প চিজ় আর কুমড়োর বীজের সংমিশ্রণে যে স্যালাড তৈরি হবে, তা শরীরের জন্য এক কথায় অনবদ্য।
স্মুদিতে
শরীরে বল পেতে মাঝেমাঝেই অনেকে স্মুদিতে চুমুক দেন। এই স্মুদিতে যদি কয়েকটি বীজ ফেলে দিতে পারেন, তা হলে বেশি উপকার পাবেন। ফল, ইয়োগার্ট এবং অল্প দুধ আর কয়েকটি কুমড়োর বীজ-সহ মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিলেই তৈরি এই পানীয়। সুস্বাদু এবং একই সঙ্গে উপকারী।
ওটমিলে
শরীর সচেতনদের অনেকেরই জলখাবারে থাকে ওটমিল। ড্রাই ফ্রুটস, বিভিন্ন ধরনের বীজ, ফল এবং অল্প মধুর সঙ্গে কুমড়োর কয়েকটি বীজও ছড়িয়ে নিতে পারেন। সকাল সকাল এক বাটি পুষ্টি শরীরে গেলে স্বাস্থ্য নিয়ে দুর্ভাবনার প্রয়োজন ফুরোবে।