চুল ঝরা, পাতলা হয়ে যাওয়া, অকালপক্বতা রোধ করা যায় জবাফুল মাখলে। জবা ফুলের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। ফলে চুল হয় জটমুক্ত, রেশমের মতো কোমল। ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’-এর তথ্য বলছে, এই ফুলে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি।
এগুলি সামগ্রিক ভাবে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলিকলগুলিও পুষ্টি পায়। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। তার জন্য মাথায় জবাফুলের তেল মাখতে পারেন। বাড়িতে কী ভাবে সেই তেল তৈরি করবেন?
কীভাবে তৈরি করবেন জবাফুলের তেল?
একটি পাত্রে খানিকটা জল গরম করুন। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জবাফুল দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে দেখবেন জলের রং বদলে গিয়েছে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তরল ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে রেখে দিন। এ বার পরিষ্কার কাচের পাত্রে ওই তরল এবং নারকেল তেল সম পরিমাণে মিশিয়ে ফেলুন। চাইলে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। স্নানের ঘণ্টাখানেক আগে এই মিশ্রণ মাথায় মেখে রেখে দিন। তার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
তবে ত্বকের যত্নেও যে জবাফুল ব্যবহার করা যায়, সে কথা হয়তো সকলে জানেন না। জবাফুলের যে যে উপাদান রয়েছে, সেগুলি ত্বকের জন্যেও উপকারী। চুলের জন্য যেমন কেরাটিন জরুরি, তেমন ত্বকের জন্যেও তা গুরুত্বপূর্ণ। বয়সজনিত কারণে ত্বকের টান টান ভাব নষ্ট হয়, বলিরেখাও পড়ে। এই সমস্যা দূর করে জবাফুল দিয়ে তৈরি ক্রিম।
‘অ্যান্টি-রিঙ্কল’ ক্রিম কী ভাবে তৈরি করবেন?
অ্যালো ভেরার শাঁস, নারকেল তেল এবং জবাফুলের পাপড়ি একসঙ্গে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এমন ভাবে ব্লেন্ড করতে হবে যেন তা ঘন জেলের মতো হয়ে যায়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে এই ক্রিম মেখে নিন। পুজোর এখনও বেশ কয়েকটা দিন বাকি। নিয়মিত মাখতে পারলে বলিরেখার সমস্যা বশে রাখা যায়।