কফি শীতকালে কম-বেশি অনেকেই খেয়ে থাকেন। এর উপকারিতা অনেক, যদি বুঝেশুনে ও মেপে খাওয়া যায়। কফি কেবল শরীরে শক্তি জোগায় তা নয়, ত্বক ও চুলের জন্যও কিন্তু বেশ ভাল। দেশের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ’-এর একটি গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, কফির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। মাথার ত্বকে সংক্রমণ জনিত কোনও সমস্যা হলে তা-ও দূর করতে পারে কফি। চুলের গোড়া মজবুত করে এবং মাথার ত্বকের কোষগুলিকে সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকেও বাঁচায়। ফলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়ার সমস্যা কমে।

গবেষণা আরও বলছে, টাক পড়ার সমস্যাও কমাতে পারে কফি। এর মধ্যে থাকা ক্যাফিন টেস্টোস্টেরন হরমোনকে ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরনে বদলে যেতে বাধা দেয়। হরমোনের এই বদলই চুল পড়ার সমস্যা বাড়ায়। যাঁদের এই সমস্যা বেশি হয়, তাঁদেরই ‘অ্যান্ড্রোজ়েনেটিক অ্যালোপেসিয়া’ দেখা দেয়। ফলে খুব দ্রুত চুল উঠে টাক পড়ে যায়।

কফি কীভাবে ব্যবহার করলে চুল পড়ার সমস্যা কমবে জেনে নিন।

কফি স্প্রে

২-৩ কাপ কফি বানিয়ে (দুধ ও চিনি ছাড়া) ঠান্ডা করে নিন। তার পর একটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। প্রতি দিন স্নান করার আগে কফি বোতল থেকে স্প্রে করে ভাল করে মাথার ত্বকে মালিশ করে নিন। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে উষ্ণ জলে চুল ধুয়ে নিতে হবে।

কফি-নারকেল তেলের প্যাক

আধ কাপের মতো নারকেল তেল ভাল করে ফুটিয়ে নিন। তেল গরম হলে তার সঙ্গে আধ চা চামচের মতো কফি পাউডার মিশিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন। থকথকে মিশ্রণটি কাচের বোতলে ভরে রেখে দিন। সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই মিশ্রণটি ভাল করে চুলে ও মাথার ত্বকে মালিশ করতে হবে। এর পর আধ ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই হেয়ার প্যাক চুল পড়ার সমস্যা তো দূর করবেই, খুশকির সমস্যা থেকেও রেহাই দেবে।

কফি-ডিমের মাস্ক

একটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক চা চামচ কফি পাউডার মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। এই মাস্ক চুলে মালিশ করে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। চুল উষ্ণ জলেই ধোবেন। গোছা গোছা চুল উঠলে সপ্তাহে তিন বার এই মাস্ক ব্যবহার করে দেখুন। চুল পড়া, অকালপক্কতার সমস্যাও দূর হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here