
শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পূজিত হন দেবী সরস্বতী। এই শুক্লা পঞ্চমী তিথিকে বসন্ত পঞ্চমী অথবা শ্রীপঞ্চমীও বলা হয়। পুরাণ অনুযায়ী এই তিথিতেই ব্রহ্মার মুখ থেকে বিদ্যা ও বুদ্ধির দেবী সরস্বতীর উৎপত্তি। এ ছাড়া সরস্বতী সম্পর্কে আরও কিছু অজানা তথ্য রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক—
১. সরস্বতীকে ঋক, সাম, যজু, অথর্ব- চার বেদের জননী বলা হয়।
২. সূর্যের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছিলেন গায়ত্রী। সূর্য বন্দনার মন্ত্রেও তাঁর উল্লেখ পাওয়া যায়। পুরাণ মতে, এই গায়ত্রী ছিলেন সরস্বতীরই আর এক রূপ। গায়ত্রীকে বেদমাতা বলা হয়।
৩. তাঁর বাগ্মিতার ক্ষমতা ও দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে সরস্বতীকে ‘বাগদেবী’ নামে ভূষিত করেন ব্রহ্মা।
৪. পুরাণ অনুযায়ী, সরস্বতীর রূপে ব্রহ্মা এতই মুগ্ধ ছিলেন যে, সরস্বতী যে দিকেই থাকুন না-কেন, তিনি যাতে তাঁকে দেখতে পান, এমন কামনা করে বসেছিলেন। এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই রয়েছে ব্রহ্মার চারটি মাথা।
৫. বিভিন্ন রূপ ধারণ করতে পারেন দেবী। এ কারণে সরস্বতীর আর এক নাম ‘শতরূপা’।
৬. ভারতের পূর্বপ্রান্তে সরস্বতীকে শিব ও দুর্গার সন্তান মনে করা হয়।
৭. বৌদ্ধ ধর্মেও সরস্বতীর উল্লেখ পাওয়া যায়। বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী, সরস্বতী ছিলেন মঞ্জুশ্রীর এক সঙ্গিনী।
৮. পদ্মাসনে অধিষ্ঠিত সরস্বতী। এই পদ্মকে জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়।
৯. সরস্বতীর হাতে শোভা পায় বীণা। এটি শুধুমাত্র সুরেরই নয়, বুদ্ধি এবং মেধারও প্রতীক।
১০. ৪ হাজার বছর আগের ভারতবর্ষে সরস্বতী নদীর উপস্থিতি ছিল। এই নদীটিকে দেবী সরস্বতীর ধরিত্রী রূপ বলা হয়ে থাকে। কথিত আছে, ক্ষত্রিয় বিনাশের পর পরশুরাম এই নদীতে স্নান করে ‘শুদ্ধ’ হয়েছিলেন।