সোয়াবিনের চাপ, চিলি সোয়াবিন, সোয়াবিন অনান্য সব পদ যদি কষিয়ে রাঁধা হয় তাহলে তার স্বাদ হয় মাংসের মতোই। আবার চিকিৎসকের পছন্দের খাদ্য তালিকাতেও কিন্তু উপরের দিকেই থাকে সোয়াবিন বা বড়ি।

দামে যেমন স্বস্তা, খেতে তেমন ভাল। আবার অঢেল স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই পদ। সোয়াবিনে থাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান। হাঁটু, কোমর, হাত বা ঘাড়ে ব্যথার রোগী এখন ঘরে ঘরে। বাতের ব্যথার রোগীও বেড়েই চলেছে দিনে দিনে। সেই ব্যথাকে কাবু করতেও কিন্তু দারুণ কার্যকরী এই সোয়াবিন। আর কী কী উপকার হয় সোয়াবিন খেলে?

চিকিৎসকদের মতে সপ্তাহে নিদেনপক্ষে তিন দিন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম সোয়াবিন ও নিয়মিত সোয়ামিল্ক খেলে হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করা যায়। বিশেষ করে মেনোপজের পর মহিলাদের হাড়ে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ কমতে শুরু করে। এই সময় হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। রোজকার ডায়েটে ফাইটোইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ সোয়াবিন থাকলে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি কমে।

সদ্য মেনোপজ হয়েছে এমন মহিলাদের নিয়ম করে ৩০ গ্রাম সোয়াবিন অন্তত টানা ৬ মাস খাওয়া উচিৎ। সোয়াবিনে থাকা প্রোটিন অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যাকে রোধ করতেও বেশ সাহায্য করে। সোয়া প্রোটিন ডায়েট এই ধরনের রোগ প্রতিহত করতে খুবই কার্যকরী।

সোয়াবিনে রয়েছে আইসোফ্ল্যাভেন ও লেসিথিন। দুটি উপাদানই জোরালো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এগুলো লো ডেনসিটি কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্যে করে। ধমণির মধ্যে কোলেস্টেরলের পলি জমিয়ে রক্ত চলাচল কমিয়ে দেয় লোডেনসিটি কোলেস্টেরল। সোয়াবিনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এই সমস্যার মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।

সোয়াবিনের আইসোফ্ল্যাভেন অত্যন্ত জোরালো ফাইটো ইস্ট্রোজেন। ত্বক ও চুল উজ্জ্বল ও চকচকে রাখতে এই উপাদান সাহায্য করে। সোয়াবিনে থাকা লেসিথিন রক্তচাপ স্বাভাবিক রেখে হার্ট ও মস্তিষ্ককে ভাল রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে অকালবার্ধক্য থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। সোয়াবিনের লেথিসিন ফ্যাট মেটাবলিজিম বাড়াতে সাহায্য করে।

নিয়মিত সোয়াবিন খেলে হাইডেনসিটি কোলেস্টেরল এবং লোডেনসিটি কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা হয়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে। সোয়াবিনের মধ্যে থাকা প্রোটিন কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্যে করে। সোয়া ফাইবার রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও বেশ কার্যকরী।

তবে মনে রাখবেন, দিনে ৫০ গ্রামের বেশি সোয়াবিন খাওয়া ঠিক নয়। অনেকেরই বেশি সোয়াবিন হজমে সমস্যা হয়। তবে সোয়া মিল্ক প্রতি দিনই খাওয়া যায়। যাঁদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স রয়েছে, দুধ খেলে হজমের অসুবিধা হয়, তাঁরা প্রতি দিন সোয়া মিল্ক খেতে পারেন। বাচ্চাদের জন্যও সোয়া মিল্ক খুবই উপকারী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here