স্কন্দ পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ, ভগবত পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ ও আরও বহু পুরাণে কলিযুগের উল্লেখ রয়েছে।কলিযুগের কথা উঠলেই পৃথিবীর অন্তিম দিনের কথা উল্লেখ আসে। পুরাণে লেখা রয়েছে, কলিযুগ চলাকালীন পৃথিবী ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে। সেই সময় ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার কল্কির জন্ম হবে। কল্কিরূপে জন্ম নিয়ে এই যুগের অবসান ঘটাবেন। সূচনা হবে এক নতুন যুগের।
কলিযুগের ভবিষ্য মালিকা-র কথা অনেকেই শুনেছেন। সেখানে পৃথিবী ধ্বংসের কথা উল্লেখ রয়েছে। তেমনি পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়েও রয়েছে বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী। ৫০০ বছর আগেই এই ভবিষ্য মালিকা লিখেছিলেন ঋষি অচ্যুতানন্দ দাস। তিনি কলিযুগের অবসান প্রসঙ্গে নানা কথা লিখেছেন। ভবিষ্য মালিকায় পুরীর মন্দিরের বিভিন্ন দুর্ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী উল্লেখ রয়েছে।
ভবিষ্য মালিকাতে উল্লেখ রয়েছে, মন্দির চত্বরে ত্রিনয়নে থাকা কাপড়ে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা। কয়েক বছর আগে প্রথমবারের জন্য মন্দিরের চূড়ায় আগুন লেগে গিয়েছিল। পাপাংশক একাদশীর দিন জগন্নাথ পুরীর মন্দিরে অখণ্ড মহাপ্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ প্রবল বাতাসের কারণে প্রদীপের আগুন ধ্বজায় লেগে গিয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটে যায়। ২০২০ সালের ১৯ মার্চ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। ভবিষ্য মালিকায় পতাকা পুড়ে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ রয়েছে।
ভবিষ্য মালিকায় উল্লেখ রয়েছে, জগন্নাথ পুরীর মন্দিরের গম্বুজ থেকে যখন পাথর খসে পড়বে, তখন তা হবে বিশ্ব ধ্বংসের ইঙ্গিত। ১৮৪২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত জগন্নাথ পুরী থেকে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ বার পাথর খসে পড়েছে। কলিযুগের অবসানের সঙ্গে এই ঘটনাগুলি পৃথিবীর মহাবিনাশের ঘটনা যুক্ত বলে মনে করা হয়।
জগন্নাথ পুরীর মন্দির চত্বরে একটি প্রাচীন বটগাছ ছিল। ভবিষ্য মালেকায় এই গাছের ধ্বংসের পূর্বাভাস দেওয়া রয়েছে। ২০১৯ সালে, ওড়িশায় প্রবল ও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর পরে জগন্নাথ মন্দিরের ওই বটগাছটি পড়ে গিয়েছিল। এরপর করোনা মহামারী সারা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। ভবিষ্য মালেকায় গাছ পড়ে যাওয়া ও মহামারীর মধ্যে সংযোগের রয়েছে বলে মনে করা হয়।