ভারতে বহু মানুষ শাস্ত্র মেনে চলেন। শুধু ভারতে নয়, সমগ্র এশিয়ায় বহুলভাবে প্রচলিত এই শাস্ত্র। মূলত গৃহসজ্জা এবং তার বিভিন্ন রীতিনীতি নিয়ে বাস্তুশাস্ত্রে আলোচনা করা হয়। কোন জিনিস ঘরের কোথায় রাখলে ইতিবাচক প্রভাব বাড়বে কিংবা কোন জিনিস কোন দিকে রাখলে তার প্রভাব হবে মারাত্মক, তা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হয় বাস্তুশাস্ত্রে।
হিন্দু ধর্মে বাস্তশাস্ত্রের খুবই গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, রান্নার গ্যাস থেকে ঠাকুরঘর, ঘরের যে কোনও জিনিস সঠিক দিকে না রাখলে তা উল্টো ফল পেতে পারেন। আবার ঠিক মতো এই বিজ্ঞান মেনে চললে বজায় থাকে পরিবারে সুখ শান্তি। এমনকি বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ডাস্টবিন রাখারও একটি সঠিক ও নির্দিষ্ট দিক রয়েছে। সাধারণত, বাড়ির যেখানে-সেখানে, সুবিধামত ডাস্টবিন রাখা হয়। এখানেই হতে পারে মারাত্মক ভুল। কারণ বাস্তশাস্ত্র বলছে, বাড়ির সব জায়গায় ডাস্টবিন রাখা যায় না। কিছু কিছু দিকে ডাস্টবিন রাখলে বাড়ির উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাহলে বাড়িতে কোন দিকে ডাস্টবিন রাখলে শুভ হবে, তা জেনে নিন।
বাড়ির যেখানে ডাস্টবিন রাখবেন না:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কখনওই ডাস্টবিন রাখা কিংবা এই কোণাগুলিতে আবর্জনা ফেলা উচিত নয়। এই দিকগুলি ডাস্টবিন রাখার জন্য অশুভ বলে গণ্য করা হয়। বাস্ত্রশাস্ত্রের মতে, এই দিকগুলিতে ডাস্টবিন রাখলে কিংবা আর্বজনা ফেললে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।
টয়লেটের কাছেও ডাস্টবিন রাখতে নিষেধ করা হয়। কারণ কথিত রয়েছে, টয়লেটের কাছে ডাস্টবিন রাখলে বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি বাড়ে। বাড়ির সার্বিক সুখ-শান্তিতে বিঘ্ন ঘটে।
কোথায় ডাস্টবিন রাখবেন:
বাস্তু মতে, দক্ষিণ-পশ্চিমকে অপব্যয় ও বিসর্জনের দিক মনে করা হয়। তাই সবসময় বাড়ির এই দিক ডাস্টবিন রাখার জন্য উপযুক্ত। বাড়ির বাইরেও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ময়লা বা আবর্জনা ফেলতে পারেন। এর ফলে ঘরের নেগেটিভ শক্তি নিয়ন্ত্রণে থাকে।