
বিশ্বকাপের পর কলকাতার মাটিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা-উন্মাদনা থাকলেও প্রথম একাদশে মহম্মদ শামির অনুপস্থিতি হতাশ করল সমর্থকদের। ১৪ মাস পর চোট সারিয়ে দলে ফিরলেও ঘরের মাঠে খেলতে পারলেন না শামি। তবে এ দিন বঙ্গতারকাকে ছাড়াও বিধ্বংসী মেজাজে দেখাল মেইন ইন ব্লু’কে। ইংল্যান্ড’কে ৭ উইকেটে পরাজিত করল ভারতীয় দল।
ইডেনে ৫৫ হাজার সমর্থকের সামনে দুরন্ত বোলিং করেন বরুণ চক্রবর্তী-অর্শদীপ সিং’রা। ১০ ওভারের মধ্যে দুটি করে উইকেট সংগ্রহ করে এই পেস-স্পিন জুটি। এমনিতেই ম্যাচের শুরুটা হয়নি তারউপর অষ্টম ওভারে হ্যারি ব্রুক এবং লিয়াম লিভিংস্টোন’কে আউট করে ইংল্যান্ড’কে আরও কোণঠাসা করে দেন বরুণ। ১৪ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান সংগ্রহ করে ত্রি-সিংহ বাহিনী। যার মধ্যে অধিকাংশ রান আসে অধিনায়ক জস বাটলারের ব্যাট থেকে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লেও এক দিক থেকে মাটি আঁকড়ে লড়াই চালিয়ে যান ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তিনি একক দক্ষতায় লড়াই করার মতো রানে পৌঁছে দেন ইংরেজদের। ১৭তম ওভারে আউট হন বাটলার। ৪৪ বলে ৬৮ রান করার পর বরুণের বলে নীতিশ কুমার রেড্ডি’কে ক্যাচ দেন তিনি। এই সুবাদে ১৭ ওভারে ১০৯ রানের বিনিময় অষ্টম উইকেটটি হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংল্যান্ড। এরপর আদিল রশিদ এবং জোফ্রে আরচার ব্যাট করলেও তাঁরা স্কোরবোর্ডে বড় রান যোগ করতে পারেননি। ২০ ওভারে ১৩২ রান তোলে ইংল্যান্ড। এ দিন ভারতের হয়ে তিন উইকেট নেন বরুণ। দুটি করে উইকেট নেন অর্শদীপ, হার্দিক এবং অক্ষর।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নিরিখে ইংল্যান্ড যে টার্গেট সেট করেছিল তা আইপিএলের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তারুণ্য ভরপুর ভারতীয় দলকে ১৩৩ রানের টার্গেটে পৌঁছতে বেগ পেতে হয়নি। মাত্র ১২.৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলেনেয় ভারত। দুর্ধর্ষ ব্যটিং করেন ওপেন করতেন নামা অভিষেক শর্মা। তরুণ ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ ৭৯ রান।
অন্যদিকে ওপেনার সঞ্জু স্যামসন করেন ২৬ রান। উল্লেখযোগ্যভাবে রান পাননি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সূর্য। আদিল রশিদের বলে অভিষেক প্যাভিলিয়নে ফিরলে তিলক বর্মা এবং হার্দিক পান্ডিয়া ভারতকে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার বাকি কাজটি সেরে ফেলেন।