এমন অনেক খাবার রয়েছে যা আপনি আপনার রান্নাঘরের জন্য নিয়মিত কিনে আনেন, যেগুলি কী সমস্যার কারণ হতে পারে তা দ্বিগুণ যাচাই করা প্রয়োজন। নাহলে শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে।

মাশরুম

সবজির মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অন্যতম স্বাস্থ্যকর উৎস হিসেবে মাশরুমকে ধরা হয়। কিন্তু, আপনি কি জানেন, প্রকৃতিতে এমন অনেক বন্য মাশরুম আছে যা দেখতে খাওয়ার মতো মনে হলেও তা আপনার শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে? প্রকৃতিতে কোথাও গেলে, আপনি যা রান্না করতে যাচ্ছেন তা অবশ্যই খাওয়ার উপযোগী কিনা তা নিশ্চিত করুন। বিপজ্জনক কিছু মাশরুমের প্রজাতি হল ডেথ ক্যাপ, ওয়েবক্যাপস, অটাম স্কালক্যাপস এবং ডেডলি ক্যাপারলিং।

টমেটো

কখনো ভেবেছেন কেন আমরা টমেটোর উপরের অংশ কেটে বাদ দিই? এর কারণ হলো, এই অংশে ‘টোমাটিন’ নামক একটি টক্সিন থাকে, যা তীব্র পেটব্যথা এবং খিঁচুনির কারণ হতে পারে। শুধু তাই নয়, টমেটোর পাতা ‘গ্লাইকোআলকালয়েড’ নামের একটি বিষাক্ত পদার্থ ধারণ করে, যা খেলে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। তাই এবার থেকে, টমেটো দিয়ে রান্না করার সময় অবশ্যই এর এই অংশটি কেটে বাদ দিন।

বাদাম

বাদাম প্রোটিন এবং ভিটামিন ই-এর একটি চমৎকার উৎস এবং এটি অনেকের জন্য একটি আদর্শ স্ন্যাকস। তবে, দুই ধরণের বাদাম সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। একটি মিষ্টি, যা আমরা সাধারণত খাই, এবং অন্যটি তিতা, যা সায়ানাইডের উচ্চ মাত্রা ধারণ করে এবং এটি খেলে প্রাণঘাতী হতে পারে।

চেরি

আমরা চেরি পছন্দ করি, তবে এর মধ্যবর্তী শক্ত বীজগুলো খাওয়া কিছুটা ঝামেলার। কিন্তু, এই বীজ কখনোই গিলে ফেলবেন না! এতে ‘হাইড্রোজেন সায়ানাইড’ নামক পদার্থ থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। একই বিষক্রিয়া অ্যাপ্রিকট, আপেল, প্রুন এবং নাশপাতির বীজেও পাওয়া যায়।

আলু

এই সবজি ‘নাইটশেড’ পরিবারের অন্তর্গত, যা ‘সোলানিন’ নামক বিষ ধারণ করে। তাই আলু খাওয়ার সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকা উচিত। যদি কখনো কোনো সবুজ বা অঙ্কুরিত আলু দেখতে পান, তবে তা ফেলে দিন!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here