
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের প্রতি অঙ্গেরই কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। শরীর দুর্বল হয়ে যায়, শক্তি থাকে না আগের মতো, দৃষ্টিশক্তিও ক্ষীণ হয়। তবে অনেকের আবার অল্প বয়সেই চোখের সমস্যা এসে যায়। কাজেই বয়সের সঙ্গে ছানি, পিউপিলের সাইজ ছোট হয়ে যাওয়া, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, ইত্যাদি সমস্যা খুব সহজেই প্রবেশ করে। আবার শুধু তো চোখ নয়, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কোপ বসায় ডায়াবিটিস, প্রেসার, হার্টের অসুখের মতো রোগগুলো যা সবার আগে চোখের উপরেই প্রভাব ফেলে। কাজেই দীর্ঘদিন চোখকে সুস্থ রাখতে এখন থেকেই যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। দেখে নিন কী কী বিষয়ে নজর দেবেন-
আমাদের চোখ হচ্ছে সেলফ ক্লিনিং অর্গ্যান, অর্থাৎ নিজেরাই নিজেদের পরিষ্কার করে। যখন আমরা ঘুমাই তখন এই কাজ করে আমাদের চোখ। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান, সঠিক খাবার খান সঠিক সময়ে। বেশি পরিমাণে ফল এবং সবজি খান, এতে চোখ ভাল থাকে।
রোদে বেরোলে সঙ্গে অতি অবশ্যই এক জোড়া রোদ চশমা রাখবেন। কারণ সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি চোখের সমূহ ক্ষতি করে থাকে।
রাতের বেলা গাড়ি চালানোর সময় সচেতন থাকবেন। কারণ আমাদের যত বয়স বাড়ে, ততই অন্ধকার এবং আলোর সঙ্গে অভ্যস্থ হতে সময় লাগে।
মাল্টিভিটামিন খাবেন এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ভিটামিন এ, সি এবং ই চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ দরকারি।
প্রতি বছর অন্তত একবার করে চোখের ডাক্তার দেখান। ছানি, গ্লুকোমা, ইত্যাদি রোগের লক্ষণ কিন্তু প্রথম থেকে ধরা যায় না। তাই পরবর্তীকালের বিপদ এড়াতে প্রতি বছর একবার করে চোখের চেক আপ করান।
৬০ এর পর থেকে যাঁদের গ্লুকোমা আছে তাঁদের দৃষ্টিশক্তি কমতে কমতে একটা সময় একদমই হারিয়ে যায়। তাই চোখের ড্রপ নিয়মিত নিয়ম করে দিন।
যাঁদের ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাঁরা সেগুলি কন্ট্রোলে রাখুন। সঠিক ওষুধ খান। একই সঙ্গে খাবারের দিকে নজর দিন।
ছানি ধরা পড়লে ফেলে রাখবেন না। দ্রুত অপারেশন করিয়ে ফেলবেন। ছানি অপারেশনে ব্যথা হয় না এবং ভাল ভাবে কোনও অসুবিধা ছাড়াই অপারেশন হয়ে যায়।
বেশি মদ্যপান এবং ধূমপান করবেন না। এতেও সমস্যা বাড়ে।