এখন ঘরে ঘরে সুগার রয়েছে। অল্প বয়সীরাও কিন্তু তার থেকে ছাড় পারছেন না। সুগার হলে প্রথমেই রাশ টানতে হয় খাবারে। এই রোগে আক্রান্ত হলে অনেক খাবার খাওয়া যায় না। প্রথমেই আসি মিষ্টির কথায়। মিষ্টি খাওয়ার লোভ জাগলেও তা কিন্তু ত্যাগ করতেই হয়।

না হলে রক্তে শর্করার মাত্রা হু হু করে বাড়তে থাকে। তবে ঘরোয়া কিছু খাবার খেয়ে কিন্তু আপনি খুব সহজেই ডায়াবেটিসকে আপনার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। যা কিন্তু সুগার রোগীদের কাছে সুপারফুড বলা চলে। যদি এই খাবারগুলি আপনি নিত্যদিন খাদ্য তালিকায় রাখেন, তাহলে কিন্তু আপনার শরীর একদম ফিট থাকবে। সেই সঙ্গে সুগারও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

উচ্ছে বা করলা

প্রথমেই আসি উচ্ছে বা করলার কথায়। যদি আপনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে করোলা বা উচ্ছে অবশ্যই নিত্যদিন খাদ্য তালিকায় রাখুন। কারণ এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে গ্লাইকোসাইড রয়েছে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। নিত্যদিন সকালবেলা খালি পেটে করলার রস খেতে পারেন। এতে সুগার রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে পলিপেপটাইড-বি নামক বিশেষ যৌগ থাকে। যা ইনসুলিন হরমোনের কাজ করে। তাই আপনি কিন্তু করলা সেদ্ধ করেও খেতে পারেন রোজ।

মেথি

মেথি প্রায় প্রত্যেকটি রান্নাঘরেই মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মেথি ভেজানো জল যদি নিত্যদিন আপনি খেতে পারেন তাহলে আপনার সুগার একেবারেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে মেথি কিন্তু বেশি পরিমাণে খাওয়া যায় না। অল্প পরিমাণে খেতে হবে।

সারারাত মেথি জলে ভিজিয়ে তারপর সেই মেথি ছেঁকে আপনাকে খালি পেটে জল খেতে হবে। যদি পারেন নিত্যদিনের রান্নাতেও আপনি কিন্তু মেথির গুঁড়ো দিতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে ব্যক্তি নিত্যদিন মেথি খান, তার কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

জাম

বর্ষাকালে এই ফলটি কিন্তু প্রায় সময়ই বাজারে দেখা যায়। জামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকে। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা একদমই বাড়তে পারে না। যদি জামের বীজ রোদে শুকিয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে আপনি সেই পাউডার দিয়ে জল খেতে পারেন, তাহলে কিন্তু আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

আমলকি

টক এই ফলটি খেতে অনেকেই খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। খালি পেটে যদি আপনি রোজ আমলকির রস খান তাহলে কিন্তু আপনার সুগার রোগ একদমই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। শুধু তাই নয়, বাড়বে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও। সেই সঙ্গে ওজনও কিন্তু নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার।

ত্বক থেকে চুল হবে আরও উজ্জ্বল। তাই আজ থেকে আপনিও এগুলি খাওয়া শুরু করতে পারেন। যদি আপনি অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে এগুলি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here