রাতে কিছুতেই ঘুম আসতে চায় না। হয়তো অনেক কষ্টে ঘুমিয়েও পরেন কিন্তু আবার মধ্য রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। দরদরিয়ে ঘাম হয়, ঘুমের মধ্যেও কাজের চিন্তা তাড়া করে বেড়ায়। অজানা ভয়ে আঁতকে ওঠেন। তবে এই ধরনের সমস্যা কেন হয়, তা বুঝতে পারেন না।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এর জন্য দায়ী ‘সেডেন্টারি লাইফস্টাইল’ অর্থাৎ শারীরিক সক্রিয়তার অভাব। শরীরচর্চা না করলে ‘স্ট্রেস হরমোন’ অর্থাৎ কর্টিসলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। যার ফলে ঘুমের স্বাভাবিক চক্রও ব্যাহত হয়।
এ ছাড়া, সারাক্ষণ কাজ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করলেও মানসিক চাপ বাড়ে। প্রতিযোগিতা ভাল। তবে তা যেন মনের উপর চাপ না ফেলে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তবে উদ্বেগ বা অবসাদ শুধু মানসিক নয়। শারীরিক জটিলতা থেকেও এই সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা বা সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণেও রাতে ঘুমের মধ্যে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তে পারেন।
এই ধরনের সমস্যা বশে রাখবেন কীভাবে?
১) পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেষ্টা করুন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া জরুরি। বিছানায় কাচা চাদর পাতলেও ঘুম ভাল হয়।
২) যে সমস্ত চিন্তা রাতের ঘুম কাড়ছে, সেগুলি লিখে রাখার চেষ্টা করুন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, লিখে রাখলে ওই চিন্তাগুলো মনের মধ্যে ঘুরপাক খায় না।
৩) ঘুমোতে যাওয়ার আগে কোনও ভাবে স্নায়ুকে উত্তেজিত হতে দেবেন না। স্নায়ু শিথিল করতে প্রয়োজনে ভেষজ চা খাওয়া যেতে পারে।
৪) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার বন্ধ করে দিন। সিনেমা, সিরিজ় দেখারও চেষ্টা করবেন না। তার বদলে ঢিমে লয়ের গান বা যন্ত্রসঙ্গীত শুনতে পারেন।
৫) ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলেও মনের ভার লাঘব হয়। পেশির ব্যথাতেও আরাম দেয় এই টোটকা।