বেশীরভাগ মানুষ ভাবে পার্লারে গেলে নখ পরিষ্কার থাকে। তবে তা কিন্তু সবক্ষেত্রে নয়। শোনা যায়, পেডিকিওর নখের ভাল নয়, বরং ক্ষতিই করে। এর থেকে নখকুনিও হতে পারে। বাস্তব যাই হোক, সাবধনতার কোনও বিকল্প নেই। তাই নখের যত্ন নিন। আর তার জন্য ঘরোয়া কিছু টোটকা ব্যবহার করতে পারেন।

নখ হলুদ হয়ে যাওয়ার সমস্যা অনেকেরই থাকে। চলতি কথায় যাতে বলে নখকুনি। হাতের নখের থেকেও পায়ের নখে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। কারণ পায়ের নখকে অনেক বেশি ধুলো, মাটি, ঘাম, জল সহ্য করতে হয়। যার ফলে ছত্রাক বাসা বাঁধে। খালি পায়ে সুইমিং পুলের জলে বেশি স্নান করলেও এই রোগ হতে পারে। অনেকে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে খারাপ হয়ে যাওয়া নখের জন্য স্পোরানক্স বা ল্যামিসির মতো মলম ব্যবহার করে থাকেন। যদিও তা বেশ খরচ সাপেক্ষ। তাহলে কীভাবে নিজের নখের যত্ন নেবেন? কীভাবেই বা নখের হলুদ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন?

ভিক্স ভ্যাপো রাব মাথা ধরলে এই বামটি অনেকবারই হয়তো ব্যবহার করেছেন। খারাপ নখকে সুস্থ করে তুলতেও এটি বেশ পারদর্শী। সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ৮৩ শতাংশ মানুষ, যাঁরা প্রতিদিন অন্তত একবার হলুদ হয়ে যাওয়া নখে এটি লাগান, তাঁরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

ভিনিগার ও লিস্টারিন লিস্টারিনে মেন্থল থাকে। আর ভিনিগারে যে ছত্রাক জমা হতে পারে না, তা সকলেরই জানা। তাই এই দু’টির মিশ্রণ রোজ পায়ের নখে ঘণ্টাখানেক লাগিয়ে রাখতে পারলেই উপকৃত হবেন।

ভুট্টা গুড়ো ঘরোয়া উপায়ে নখকুনি সারানোর সহজতম পদ্ধতি। গ্যাস জ্বালিয়ে ভুট্টার গুঁড়োকে একটি প্যানে ঢেলে গরম করুন। তাতে জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে সেই পেস্ট পায়ের নখে লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে একবার করলেই ফল পাবেন।

চা গাছের তেল চা গাছের থেকে তৈরি হওয়া তেলও ছত্রাক দমনে সাহায্য করে। নখে জমে থাকা ছত্রাকের বাসা সরাতে এই তেল বেশ উপকারী।

ইউরিয়া পেস্ট ইউরিয়া ছত্রাক মারে। তাই ইউরিয়া রয়েছে এমন ক্রিম নখের খারাপ হওয়া অংশে লাগাতে পারেন। তার উপর দিয়ে মিরানেলের মতো অ্যান্টি-ফাঙ্গাল কোনও ক্রিম লাগিয়ে পাকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিন। তাতেও কাজ হবে। তবে ক্রিম ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করে নেবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here