শীতের গুড় খেতে কে না ভালবাসে। আর শীতকালে গুড় ছাড়া দিন শুরু করার কথা ভাবতেই পারেন না অনেকে। কারণ অনেকেই ব্রেকফাস্ট করেন গুড় আর রুটি দিয়ে। তাছাড়া শীতকালে গুড় খেতে কিন্তু দারুণ লাগে। শীতের পিঠেও কিন্তু তৈরি করতে কিন্তু নলেন গুড়ের প্রয়োজন হয়।

তাছাড়া খেজুর গুড়ের স্বাদেও কিন্তু মন্দ হয় না। তবে কীভাবে চিনবেন গুড় আসল না নকল? কারণ বর্তমানে ভেজাল গুড় কিন্তু এখন প্রায়ই বাজারে পাওয়া যায়। যাতে কিন্তু খাবারের অনেক গুনাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। কীভাবে আসল ও নকল গুড় চিনবেন, জেনে নিন।

রঙ দেখে চিনুন

খাঁটি গুড়ের রঙ হল হালকা বাদামি বা সোনালী বা হলুদ। গুড়ের রঙ যদি খুব বেশি উজ্জ্বল হয় তাহলে বুঝবেন তাতে কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এই সময়ে এক টুকরো গুড় জলে ফেলে দেবেন। তারপর দেখবেন গুড়ের রঙ পরিবর্তন হচ্ছে কিনা? । তখনই বুঝতে পারবেন এই গুড় আসল না নকল?

এই গুড়ো মেশানো হয়

অনেক সময় কিন্তু চকের গুড়ো কিন্তু গুড়ের সঙ্গে মেশানো হয়। তাই আগে কিন্তু সাবধান হোন আপনি। কারন এই দিয়ে কিন্তু ওজন বাড়ানো হয়। তাই এক টুকরো গুড় আগে ভালো করে হাত দিয়ে ভেঙে জলে দিয়ে দেখে নিন। যদি দেখেন জলে নিচে সাদা কোনও অংশ পড়ে রয়েছে তাহলে বুঝবেন গুড় ভেজাল, আর যদি গুড়ের রঙ পরিবর্তন হচ্ছে না, নীচে সাদা রঙের কিছু নেই, তাহলে বুঝবেন গুড় আসল।

দানা দানা হয়ে যায়

খাঁটি গুড় কিন্তু সবসময় নরম হয় এবং সহজে ভেঙে যায় আর সামান্য আঠালো হয়। আর নকল গুড়ো কিন্তু শক্ত হয় আর দানাদার হয়। সেই সঙ্গে অন্যান্য রাসায়নিকের ব্যবহার একটু বেশিই থাকে। যে কারণে গুড় দানা দানা হয়ে যায়। সালফার যৌগ সালফার যৌগ দিয়ে গুড়কে আকর্ষণীয় দেখাতে কিন্তু ব্যবহার করা হয়। তাই জলে গুড় দিয়ে দিন, তাতে কয়েক ফোঁটা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড দিয়ে দিন। যদি দেখেন ফেনা বা বুদবুদ তৈরি হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন এই গুড় আসল নয় নকল।

স্বাদ ও গন্ধ

সর্বপ্রথম হল স্বাদ ও গন্ধ। যদি দেখেন গুড় অতিরিক্ত মিষ্টি কিংবা মশলাদার কিংবা এর গন্ধ একটু অন্যরকম, তাহলে বুঝবেন আসল নয় নকল গুড় খাচ্ছেন আপনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here