অপর্যাপ্ত পুলিশের অজুহাতে ১৮ তারিখের মোহনবাগান–ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি ম্যাচ বাতিল করেছিল সরকার। এদিকে কথা ছিল ডার্বিতে উপস্থিত জনতা আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে স্লোগান তুলবেন। তারপরেই ডার্বি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু স্লোগান বন্ধ করা যায়নি। রবিবার বিকেলে যুবভারতীর সামনে জড়ো হয়েছিলেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডান সমর্থকেরা। ওই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এক ইস্টবেঙ্গল সমর্থক রজতশুভ্র নন্দী। কিন্তু সাঁতরাগাছি থেকে ‘নিখোঁজ’ হন তিনি। বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল হাওড়ার এক পরিবার। সোমবার ব্যক্তিগত বন্ডে ইস্টবেঙ্গলের ওই সমর্থককে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
ছাড়া পাওয়ার পর রজত জানান, আন্দোলন করা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। এই ভাবে মানুষের কণ্ঠরোধ করা যায় না। ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাবাও। ডার্বি বাতিল এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রবিবার পথে নেমেছিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডান ক্লাবের সমর্থকেরা। প্রথমে লাঠিচার্জ, তারপর বেশ কয়েক জনকে আটক করে পুলিশ। হাওড়া থেকে আটক করা হয় ২৬ বছরের রজতশুভ্রকে। তাঁকে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ থানায় আটকে রেখেছিল।
সোমবার উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হয় রজতশুভ্রের পরিবার। কিছুক্ষণ পর তাঁর পরিবারের লোকজনের কাছে থানা থেকে একটি ফোন যায় এবং রজতকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রজত বলেন, ‘‘আন্দোলন করা তো মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। এই ভাবে মানুষের কণ্ঠরোধ করা যায় না। অন্যায় হলে আবার পথে নামব।’’