
দেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পীঠস্থান হল বারাণসীর কাশী। কথিত আছে কাশীতে এসে বাবা বিশ্বনাথের দর্শন করে যা চাওয়া হয়, তাই নাকি পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না বারাণসীর কাশী থেকে কিছু জিনিস একেবারেই নিয়ে আসা যায়না। ঘরে আনলেই পাপের ভাগিদার হতে হয়।
কথিত আছে কাশীর বিশ্বনাথের মন্দিরই দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে প্রথম লিঙ্গ। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কাছে মণিকর্ণিকা ঘাট শাক্তদের পবিত্র তীর্থ অন্যতম শক্তিপীঠ। লোকে বলে সতীর দেহত্যাগের পর শিব মণিকর্ণিকা ঘাট দিয়ে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে এসেছিলেন। তাই এই ঘাটেই গঙ্গাজলে স্নান করে বিশ্বনাথের পুজো দিতে আসেন অনেকে কিন্তু এখানকার গঙ্গাজল একেবারেই ঘরে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়।
এর বৈজ্ঞানিক কারণ হিসাবে মনে করা হয়, মণিকর্ণিকা ঘাটে যেহেতু প্রচুর মৃতদেহ দাহ করা হয়, তাই গঙ্গার জলে অনেক ছাই মিশে থাকে। সেই ছাই সমন্বিত জল শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়।
আধ্যাত্মিক কারণ হিসাবে বলা হয়, অনেকেই এই কাশীতে এসে নিজের জীবনের শেষসময়টুকু অতিবাহিত করতে চান। কথিত আছে, মোক্ষ লাভের জন্য অনেকে নিজের কাছের মানুষের মৃতদেহ এই ঘাটেই দাহ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তাই, যখন মৃতদের চিতায় পোড়ানো হয় এবং তাদের ছাই গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয় এবং মৃত আত্মার অংশও নাকি গঙ্গার জলে নিবেদন করা হয়। এবার আপনি যদি এমন গঙ্গাজল নিয়ে থাকেন যার মধ্যে এই দুটি জিনিস থাকে, তবে সেটা ওই মৃত ব্যক্তির মৃত্যু এবং পুনর্জন্মের চক্রকে ব্যাহত করবে, তার আত্মা সম্পূর্ণরূপে মোক্ষ লাভ করতে পারবে না। এর ফলে আপনার জীবনে চরম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মনে করা হয় যে এই মাটির মধ্যে থাকা ছোট ছোট জীবেরা মোক্ষ প্রাপ্তির জন্য এই পবিত্র স্থানে উপস্থিত থাকতে পারে। তাই তা কাশীর বাইরে নিয়ে গেলে তাদের মোক্ষ প্রাপ্তি ঘটে না।