আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল। ঘটনার তিন মাস পরে সাংবাদিকদের সামনে বললেন, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে আমাকে ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছে।”

সোমবার আরজি কর মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে  ধর্ষণ ও খুনের ধারায় গঠিত হয় চার্জ। ১১ নভেম্বর থেকে রোজ শুনানি হবে। আরজি কর খুন ও ধর্ষণের মামলায় শিয়ালদহ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া হয়। শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত -১ বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে ধৃতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। সিবিআই ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (খুন), ৬৪(১) ধর্ষণ এবং ৬৬ ধারায় চার্জশিট দিয়েছিল। সূত্রের খবর, বিচারকের সামনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়র।

শিয়ালদহ আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় যখন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়, তখন তিনি সাংবাদিকদের দেখে কিছু বলতে চান। তিনি বলেন, “সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি রেপ মার্ডার করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ডিপার্টমেন্ট আমাকে চুপ থাকতে বলেছিল।”  যদিও গ্রেফতারের পর ধৃত বলেছিলেন, “আমিই দোষী, আমাতে ফাঁসি দিন।” কিন্তু তারপর শুনানির সময়ে বিচারককে বলেছিলেন, “স্যর আমার কিছু বলার রয়েছে। নয়তো দোষী করে দেবে।”

আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই আন্দোলনকারী চিকিৎসক-সহ সমাজের একাধিক স্তর থেকে উঠে আসছিল, এই ঘটনা একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। কিন্তু ঘটনার ৫৫ দিন পর সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছিল, তাতে ধর্ষণ খুনে অন্যতম একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রেরই নাম লেখা হয়েছিল।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here