পুজো আসতে আর হাতে গোনা কয়েক দিন। যে সময়ে শহর কলকাতা অভিয়ার বিচার চেয়ে প্রতিবাদে মুখর সেই সময় আসছেন অসুরদলনী দেবী মহামায়া। আগামী ১০ অক্টোবর দুর্গাপুজোর সপ্তমী। তার আগে ২ অক্টোবর মহালয়া, দেবীপক্ষের শুরু। দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে বাহন ও তার ফলাফল নিয়ে বাঙালি সমাজে বহু কথা প্রচলিত আছে। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের বাহন নির্ধারণ করে মর্তলোকে সারা বছর কেমন কাটবে।

শাস্ত্র অনুযায়ী সপ্তমী রবি বা সোমবার হলে দেবীর বাহন হবে গজ বা হাতি। সপ্তমী শনি বা মঙ্গলবার হলে দেবীর বাহন ঘোটক বা ঘোড়া। সপ্তমী বৃহস্পতি বা শুক্রবার হলে দেবীর বাহন দোলা বা পালকি। সপ্তমী বুধবার হলে দেবীর বাহন নৌকা। একই ভাবে, দশমী রবি বা সোমবার হলে দেবীর বাহন গজ। দশমী শনি বা মঙ্গলবার হলে দেবী বিদায় নেবেন ঘোড়ায় চড়ে। দশমী বৃহস্পতি বা শুক্রবার হলে দেবীর গমন হবে দোলা বা পালকিতে। আর দশমী বুধবার হলে দেবীর নৌকায় করে কৈলাশে ফিরবেন দেবী।

এই বছর ১০ অক্টোবর সপ্তমী পড়েছে বৃহস্পতিবার। তাই দুর্গার আগমন দোলা বা পালকিতে। শাস্ত্রমতে এর ফল মড়ক, ভূমিকম্প, খরা, যুদ্ধ। ১৩ অক্টোবর রবিবার পড়েছে বিজয়া দশমী। মা দুর্গা পুত্র-কন্যা নিয়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন গজের পিঠে চড়ে। শাস্ত্র মতে গজ বা হাতি হল দেবীর সর্বাপেক্ষা ভাল বাহন। দেবীর আগমন বা গমন হাতিতে হলে মর্ত্যলোক ভরে ওঠে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে।

দেবী যদি ঘোড়ায় চড়ে আসেন বা বিদায় নেন তবে তার ফল হয় ছত্রভঙ্গ। অর্থাৎ বৃদ্ধি পায় সামাজিক, রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিরতা।  দেবীর আসা বা যাওয়া নৌকায় হলে তাঁর ফল হয় প্রবল বন্যা ও খরা। তবে ধরিত্রী হয়ে ওঠে শস্য শ্যামলা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here