বর্তমানে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়। এই রোগ বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট সহ নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আজ অমর জেনে নেবো বাবা রামদেব এই বিষয় কী পরামর্শ দিচ্ছেন।
হিমোগ্লোবিন লোহিত রক্ত কণিকায় (RBCs) পাওয়া যায় যা শরীরের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অক্সিজেন বহন করে।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কেমন হওয়া উচিত? এটি পুরুষদের মধ্যে ১৩.৮ থেকে ১৭.২ গ্রাম/ডিএল, মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২.১ থেকে ১৫.১ গ্রাম/ডিএল এবং শিশুদের ক্ষেত্রে ১১ থেকে ১৬ গ্রাম/ডিএল হওয়া উচিত।
এর কম আয়রনের ঘাটতি, রক্তপাত, দীর্ঘস্থায়ী রোগ, সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা এবং ফ্যাকাশে ত্বকের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
হিমোগ্লোবিন বাড়াতে কী করবেন? এ জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যোগ গুরু বাবা রামদেব কিছু সহজ উপায় বলেছেন, যা মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ৭ থেকে ১৪ গ্রাম/ডিএল বাড়িয়ে দিতে পারে।
রামদেব আরও বলেছেন যে তিনি নিজেই এই প্রতিকার চেষ্টা করেছেন এবং এটি কাজ করেছে। রামদেব বলেছেন যে এই প্রতিকার কার্যকর এবং আমি সবসময় এটি ব্যবহার করে আসছি। এই কারণে, আমি গত ৩০ বছর ধরে আমার হিমোগ্লোবিন ১৭.৫ বজায় রেখেছি।
গাজর এবং বিটরুটের জুস তৈরি করতে আপনার কিছু গাজর, একটি বড় বিটরুট এবং একটি বড় ডালিম লাগবে। খোসা ছাড়িয়ে এই জিনিসগুলো ভালো করে ধুয়ে একটা মিক্সার লাগিয়ে নিন।
লেমনগ্রাস একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ যা শরীরে রক্তের ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে। আপনি সহজেই যে কোনও নার্সারি থেকে এটি পেতে পারেন।
এর জুস তৈরি করতে আপনার অ্যালোভেরা, লেমনগ্রাস, ডালিম এবং বিটরুট লাগবে। এই সব একটি মিক্সারে রাখুন এবং জুস তৈরি করুন।
শীতকালে আখ সহজেই পাওয়া যায় এবং আপনি অনেক জায়গায় আখের রসও পেতে পারেন। এটি হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর সবচেয়ে সস্তা উপায়।
রামদেব বলেন, আখের রস একটি সুপার টনিক। এটি লিভারকে এত শক্তিশালী করে তোলে যে এমনকি জন্ডিসও সেরে যায়।
ডুমুর ও খেজুরে ভালো পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। এগুলোর নিয়মিত খেলে রক্তস্বল্পতা এড়াতে সাহায্য করতে পারে। এই দুটি জিনিসের সঙ্গে কিশমিশ মিশিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
সকালে এগুলো খেয়ে জল পান করুন। এছাড়া শীতকালে গুড়ও খেতে পারেন যা আয়রনের ভালো উৎস।
শীতকালে পাওয়া মিষ্টি আলু হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে এবং পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখার সবচেয়ে ভালো উপায়।
আপনি এটি চুলায় বেক করতে পারেন বা সিদ্ধ করতে পারেন। লেবুর রস মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।