শীতে আলু বা শীতের কড়াইশুঁটি দিয়ে রাঁধা তরকারির সঙ্গেও বেশ যায়। বাঙালির লুচি বা হিঙের কচুরির মতোই দেখতে খানিকটা। এই পদ ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী জনজাতির মধ্যে বেশ প্রসিদ্ধ। সকালের জলখাবার হিসেবে হোক বা অতিথি আপ্যায়ণে ধুসকা বা ‘ধুসকা রোটলি’-র কদর ভালই ঝাড়খণ্ডে। বাঙালির হেঁশের লুচির পাল্লা ভারী থাকায়, ধুসকা তেমন জায়গা পায়নি কখনওই। তবে যদি স্বাদবদলের ইচ্ছা হয়, তা হলে পড়শি রাজ্যের এই জনপ্রিয় পদটি চেখে দেখাই যায়।
চাল, ডাল বেটে ধোসার মতোই বানানো হয় ধুসকা। আবার যদি রাতের ভাত বেঁচে যায়, তাই দিয়েও ধুসকা তৈরি করা যায়। চাল, ডালের সঙ্গে নানা রকম মরসুমি সব্জি মিশিয়েও ধুসকা খান অনেকেই। এই পদ বানানো খুবই সহজ। জেনে নিন বানানোর পদ্ধতি।
উপকরণ
এক কাপ বাসমতী চাল (যে কোনও চালই চলতে পারে)
আধ কাপের মতো ছোলার ডাল ও বিউলির ডাল
চালের গুঁড়ো এক চা চামচ
আধ কাপের মতো কড়াইশুঁটি, গাজর, বিন্স কুচনো
৩টি কাঁচা লঙ্কা
১ চামচ হলুদ গুঁড়ো
১ চামচ ধনে গুঁড়ো
১ চামচ জিড়ে গুঁড়ো
ধনে পাতা কুচি
নুন স্বাদমতো
প্রণালী
চাল ও ডাল ভাল করে ধুয়ে নিয়ে ৪ থেকে ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এ বার জল ঝরিয়ে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে মিক্সারে ভাল করে বেটে নিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। এ বার তাতে সমস্ত সব্জি মিশিয়ে নিতে পারেন। যদি সব্জি ছাড়া খেতে চান, তা হলে চাল ও ডালের বাটা দিয়ে বানাবেন ধুসকা।
মিশ্রণটিতে এ বার হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, চালের গুঁড়ো, নুন মিশিয়ে তাতে ধনেপাতা কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে থকথকে মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। এই মিশ্রণ ঢেকে রাখুন ৩ ঘণ্টার মতো। তাতে সেটি ফেঁপে উঠবে। এ বার কড়াইতে তেল গরম করে হাতা দিয়ে মিশ্রণ তুলে গোল গোল করে ভেজে নিন। মিশ্রণ মিহি হলে ধুসকা লুচির মতোই ফুলবে। গরম গরম পরিবেশন করুন তরকারি ও চাটনির সঙ্গে।