দেবী লক্ষ্মী যে স্থান থেকে রুষ্ট হয়ে চ;লে যান তাই হয়ে পড়ে শ্রীহীন। একসময় দেবী কমলা স্বর্গত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন। ফলে দেবলোক হয়ে পড়েছিল শ্রী-সমৃদ্ধি হীন। সম্পদের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের শক্তিও শেষ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে অসুররা আক্রমণ করে স্বর্গ। আজ জানাযাক সেই গল্প।

একবার মহর্ষি দুর্বাসা তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে শিবকে দেখতে কৈলাসে যাচ্ছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্রের সঙ্গে তাঁর পথে দেখা হয়। ইন্দ্র ছিলেন নিজ ঐরাবতে। তিনি দূর্বাসাকে প্রণাম করলেন, মহইর্ষিও খুশি হয়ে ভগবান বিষ্ণুর দেওয়া দিব্য পারিজাত ইন্দ্রকে দিয়ে আশীর্বাদ করলেন। ইন্দ্র সেই ফুলটি ঐরাবত হাতির মাথায় রাখলেন। এটিই ছিল ইন্দ্রের দাম্ভিকতার প্রমাণ।

দিব্যপুষ্পের প্রভাবে ঐরাবতও উজ্জ্বল হয়ে ইন্দ্রকে ছেড়ে ফুলকে পদদলিত করে চলে গেল। এই দেখে দূর্বাসা ঋষি ক্রুদ্ধ হয়ে উঠলেন। তিনি ইন্দ্রকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, তুমি শ্রীহীন হয়ে যাবে। দুর্বাসার অভিশাপের কারণে মাতা লক্ষ্মী তৎক্ষণাৎ স্বর্গ ত্যাগ করেন। এই কারণে সমস্ত দেবতারা ধন-সম্পদ ও ক্ষমতায় দুর্বল হয়ে পড়েন।

এই সুযোগে অসুররাও স্বর্গরাজ্য আক্রমণ করে দেবগণকে পরাজিত করে। তারাই এখন স্বর্গ শাসনের অধিকার পায়। এদিকে দেবরাজ ইন্দ্র সহ সকল দেবতা ব্রহ্মার কাছে গিয়ে লক্ষ্মীকে ফিরিয়ে আনার সমাধান জানতে চাইলেন। প্রজাপতি ব্রহ্মা তখন বলেন, তুমি ভগবান বিষ্ণুর দিব্যপুষ্পের অপমান করেছ, যার কারণে দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হয়ে স্বর্গ ত্যাগ করেছেন। যদি কোনও কারণে তোমরা বিষ্ণুর আশীর্বাদপ্রাপ্ত হও, তাহলে দেবী লক্ষ্মী খুশি হয়ে এখানে ফিরে আসতে পারেন।

এরপর সমস্ত দেবতারা ভগবান বিষ্ণুর কাছে গেলে তিনি সমুদ্র মন্থনের পরামর্শ দেন। মন্থনে সমুদ্র থেকে উঠে আসেন দেবী লক্ষ্মী। স্বর্গে আবার ফিরে আসে শ্রী, দেবতারা ফিরে পান হারানো সম্পদ, গৌরব ও শক্তি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here