আজ বড়দিন। শীতের বিবর্ণ দিনে যেন উৎসবের রঙ আনে। যিশুখ্রীস্টের জন্মদিনে কেক কাটা, ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, উপহার দেওয়া ইত্যাদির পাশাপাশিই চলে ঘোরা-বেড়ানো। আর বড়দিনে ঘুরতে যাওয়ার জন্য চার্চের থেকে ভাল জায়গা আর কী হতে পারে! বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই যেতে পারেন গীর্জায়। কলকাতার বুকেই রয়েছে বেশ কিছু প্রখ্যাত গীর্জা যেখানে মানুষের ঢল নামে বড় দিনে। দেখে নিন কোন কোন চার্চে ঢুঁ মারতে পারেন-
সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল: কলকাতার বুকে এই গীর্জা বেশ জনপ্রিয়। ময়দান চত্ত্বরে অবস্থিত এই চার্চটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ১৮৩৯ সালে। ইন্দো-গথিক স্থাপত্যের নিদর্শন এই গির্জাটি তৈরি করতে সময় লাগে আট বছর। ১৮৪৭ সালে সাধারণের জন্য খোলে গির্জার দরজা। এই গির্জার সবচেয়ে আকর্ষক বৈশিষ্ট্য হল এর স্থাপত্যের অভিনব নকশা।সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই চার্চে আপনি ঢোকার অনুমতি পাবেন।
আর্মেনিয়ান চার্চ: কলকাতার প্রাচীন গির্জাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বড়বাজার অঞ্চলের আর্মেনিয়ান চার্চ। ১৭ শতকের প্রথম ভাগে আর্মেনীয়রা চুঁচূড়া হয়ে বাণিজ্যিক কারণে কলকাতায় আসেন। কলকাতায় তাঁদের উপাসনার জন্য কোনও গির্জা না থাকায় ১৬৮৮ সালে তৈরি হয় গির্জাটি। তার পর ১৭২৪ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয় আর্মেনীয় ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে। চার্চের ভিতরে রয়েছে একটি ছবির সংগ্রহশালা। এই চার্চের অভ্যন্তরে মার্বেলের স্থাপত্যকীর্তি দর্শকদের মুগ্ধ করে।
সেন্ট জনস চার্চ: বিবাদী বাগের কাছে অবস্থিত এই গীর্জা কলকাতার তৃতীয় প্রাচীনতম। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নির্মিত কলকাতা শহরের প্রথম ভবনগুলির মধ্যে এই গির্জা অন্যতম। এই গির্জার মুখ্য আকর্ষণ হল গির্জার মেঝে, যা গাঢ় নীল-কালো পাথর দিয়ে তৈরি। এই গির্জা আপনি খোলা পাবেন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।