বাদাম শরীরের জন্য ভাল। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাদাম খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক অবশ্যই। বাদামে যে ফ্যাট আছে, তা শরীরের জন্য উপকারী। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা একাধিক রোগ যেমন হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। বাদামের চনমনে স্বাদের কারণে অনেকে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় বাদাম রাখতে চান।
অন্যদিকে বাদামে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড, পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড রয়েছে। ফলে এগুলি কিন্তু ভাল নয়। তবে বাদামে যে প্রোটিন ও ম্যাগেনিয়ামের অন্যতম উৎস সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে যে কোনও জিনিসই যেমন বেশি খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে বাদামের ক্ষেত্রেও তাই।
বাদামে ক্যালোরি বেশি থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, তবে বাদাম আপনার জন্য ক্ষতিকর। আবার অতিরিক্ত পরিমাণে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট স্ট্রোব, হার্ট অ্যাটাক, হজমে সমস্যা, ধমনি বন্ধের মতো সমস্যা তৈরি করে।
অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার ক্ষতিকর দিক
ওজন বৃদ্ধি: যদিও বাদামে উপকারী ফ্যাট থাকে, তবে আপনি যদি প্রতিদিন বাদাম খান বৃদ্ধি পাবে ওজন। গবেষকরা বলছেন, এক মুঠ বাদামে ১৭০ ক্যালোরি রয়েছে। ডায়েটারি গাইডলাইন অনুসারে, আমাদের শরীরে প্রতিদিন ১৬০০ থেকে ২৪০০ ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। সেখানে আমরা বাদাম খেয়েই যদি এত ক্যালোরি গ্রহণ করি, তাহলে মোট ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এতে করে বাড়তে থাকে ওজন।
মিনারেলের শোষণে বাধা: বেশি বাদাম খেলে তা শরীরে মিনারেল শোষণ কমিয়ে দেয়। এ জন্য দায়ী বাদামে উপস্থিত ফাইটিক এসিড। এই ফাইটিক এসিড শরীরে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম প্রবেশে বাধা দেয়। এর ফলে অ্যালার্জি, খাদ্যনালিতে জ্বালাপোড়া হয়।
উচ্চ রক্তচাপ: বাদামে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকায় আপনি যখন হালকা লবণ দিয়ে বাদাম খাবেন তখন তা হুট করে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্তপ্রবাহ থেকে জল এবং ফ্লুইড শোষণ করে নেয় আর এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়।
প্রদাহ সৃষ্টি হয়: বাদামে ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড থাকে, কিন্তু ওমেগা-৩ না। ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬-এর ভারসাম্য ঠিক না হলে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।
অ্যালার্জির সমস্যা: যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, নতুন করে অতিরিক্ত বাদাম খেলে তা থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। বাদাম থেকে অ্যালার্জি সৃষ্টির কিছু লক্ষণ হলো- ত্বকের চুলকানি, শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়া।