সর্বপিতৃ অমাবস্যা দিনটি মহালয়া নামেও পরিচত। এই দিনেই পিতৃলোক থেকে স্বর্গলোকে ফিরে যান পিতৃপুরুষরা। তাই ফিরে যাওয়ার আগে তাঁদের তৃপ্ত করতে সর্বপিতৃ অমাবস্যায় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধ তর্পণ করা জরুরি। রাত পোহালে ২ অক্টোবর বুধবার পালিত হবে মহালয়া। মনে করা হয় এদিন কয়েকটি কাজ করলে পরিতৃপ্ত হন আমাদের প্রয়াত পূর্বপুরুষরা।
পূর্বপুরুষদের খুশি করতে মহালয়ায় কোন কোন কাজ করা জরুরি?
সর্বপিতৃ অমাবস্যায় সকালে উঠে আগে স্নান সেরে নিন। তারপর গায়ত্রী মন্ত্র জপ করে সূর্যদেবের উদ্দেশ্যে জলের অর্ঘ্য নিবেদন করুন। এর ফলে খুশি হন পূর্বপুরুষরা।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে অশ্বত্থ গাছে প্রয়াত পিতৃপুরুষদের বাস। তাই মহালয়ার দিন অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় জল দিন। বিকেলে অশ্বত্থ গাছের নীচে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে দিন। এদিন অশ্বত্থ গাছে জলের সঙ্গে কালো তিল মিশিয়ে অশ্বত্থ গাছে নিবেদন করুন। এর ফলে পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ লাভ করা যাবে।
সর্বপিতৃ অমাবস্যায় জলের মধ্যে দুধ, কালো তিল, কুশ, ফুল ও অগুরু মিশিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে নিবেদন করুন। এই ভাবে তর্পণ করলে তৃষ্ণার্ত পূর্বপুরুষরা পরিতৃপ্ত হন।
এদিন কোনও গোরুকে সবুজ ঘাসপাতা খাওয়ান। এর ফলে সব দেব দেবীর আশীর্বাদ লাভ করা সম্ভব। পিতৃপুরুষরাও এর ফলে তুষ্ট হয়ে সম্পদ ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ দিয়ে থাকেন।
পিতৃপক্ষ চলাকালীন এই ১৫ দিনের মধ্যে যদি আপনি পূর্বপুরুষের নামে তর্পণ শ্রাদ্ধ করতে না পারেন, তবে সর্বপিতৃ অমাবস্যায় তা অবশ্যই করুন। এদিন তর্পণ করলে তাঁরা মুক্তি লাভ করেন।
পিতৃপক্ষে দান করারও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সর্বপিতৃ অমাবস্যায় ব্রাহ্মণকে অন্নদান করুন ও তাঁদের কিছু দান করুন। রূপো দান করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। এর ফলে পরিতৃপ্ত হয়ে ফিরে যান পিতৃপুরুষরা।