হাসি খুশি থাকাই হল জীবনের আসল আনন্দ। হাসির গুরুত্ব বোঝাতে হাস্যরস দিবসও পালন করা হয়। হাসি আমাদের ইতিবাচক করে তোলে। সেই জন্য হাসা খুব জরুরি।
বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি যাতে বজায় রাখতে বাড়িতে এবং অফিসে লাফিং বুদ্ধের ছোট এবং বড় মূর্তি রাখে। লাফিং বুদ্ধের মূর্তি সৌভাগ্য এবং সুখ-সমৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু আপনি কি জানেন লাফিং বুদ্ধ কে ছিলেন এবং কেন তিনি সবসময় হাসেন?
চিনে মানুষ লাফিং বুদ্ধকে দেবতার মতো পুজো করে। ফেং শুই অনুসারে, তার মূর্তি যেখানে থাকে সেখান থেকে নেতিবাচকতা চলে যায় এবং ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়। চিনের লাফিং বুদ্ধের মতো ভারতীয় সভ্যতায় ভগবান কুবেরের স্থান। তাঁকে সম্পদের দেবতা বলে মনে করা হয়।
চিনা সভ্যতা সম্পর্কিত বিশ্বাস অনুসারে, লাফিং বুদ্ধ গৌতম বুদ্ধের অনেক শিষ্যদের মধ্যে একজন ছিলেন। তাঁর নাম ছিল হোতেই। তিনি ছিলেন জাপানের বাসিন্দা। কথিত আছে যে হোতেই যখন বৌদ্ধ হয়েছিলেন এবং জ্ঞান অর্জন করেছিলেন, তখন তিনি উচ্চস্বরে হাসতে শুরু করেছিলেন।
এরপর থেকে হোতেই যেখানেই যেতেন, মানুষকে হাসাতেন, খুশি করতেন। তিনি মানুষকে হাসাতে এবং খুশি করাকেই তাঁর জীবনের লক্ষ্য হিসাবে নিয়েছিলেন। এভাবেই হোতেইয়ের নাম হয় লাফিং বুদ্ধ।
লাফিং বুদ্ধ সম্পর্কে একটি বিশ্বাস রয়েছে যে চিনে তাঁকে দেবতা হিসাবে পুজো করা হয়। সেখানে লাফিং বুদ্ধকে পুতাই বলা হয়, তিনি ছিলেন একজন ভিক্ষুক। তিনি তাঁর বিশাল ভুঁড়ি, বিশাল শরীর এবং নিটোল চেহারা দিয়ে সবাইকে অনেক হাসাতেন। এভাবেই তিনি শিশুদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তাই মানুষ তাঁর মূর্তি বাড়িতে রাখতে শুরু করে।