কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর রাখতে হয়। তেলে ভাজাভুজি তো নৈব নৈব চ। কিন্তু একেবারে তেলছাড়া রান্নায় কি সেভাবে স্বাদ হয়। তাই এমন তেল বেছে নিন যা কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর প্রভাব ফেলবে না।
রাইসব্রান তেল, সোয়াবিন তেল, নারকেল তেলের মতো তেলগুলো কোলেস্টেরলের রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত। এতে বাড়তে পারে হৃদরোগের সমস্যা। এই তেলগুলি এতটাই উচ্চ তাপমাত্রায় পরিশোধিত হয় যে তার ফলে এর পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যায়। পরিবর্তে এতে ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে এই ধরনের তেল দিয়ে তৈরি খাবার এলডিএল কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারইডের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
অলিভ অয়েল, ক্যানোলা তেল, বাদাম তেল, সূর্যমুখীর তেল কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। এই ধরনের তেলে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ফ্ল্যাক্স সিড অয়েল, আখরোট তেল, অ্যাভোকাডো অয়েলের মতো তেল এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
তবে যে তেলেই রান্না করুন না কেন পরিমাণ খুব মেপে দেবেন। অল্প তেলেই রান্না সেরে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শরীরের উপর খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।