খালি পেটে অনেকেই অনেক কিছু খায়। খালি পেটে সেগুলি গলাধঃকরণ করতে পারলে আখেরে লাভ আপনারই। পুষ্টিবিদদের মত, সবুজ, টাটকা পাতার পুষ্টিগুণ সব সময়ে বেশি। ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ এই ভেষজগুলি রান্না করে খেলে তার কার্যকারিতা অনেক ক্ষেত্রেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাজের কাজ কিছুই হবে না। শুধু পাতা চিবিয়ে খেতে একান্ত অসুবিধা হলে স্যালাড, স্মুদিই ভরসা। যদিও সব ধরনের শাকপাতা কাঁচা খাওয়া যায় না। কিন্তু কোনগুলি খাওয়া যায়, জানেন?
১) পুদিনাপাতা:
পেটের কোনও সমস্যা হলে পুদিনার বড়ি খান অনেকে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, পুদিনাপাতা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই উপাদানটি শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আবার, মুখগহ্বরে ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত রুখে দিতে পারে এই পাতা। সকালে খালি পেটে পুদিনাপাতা চিবিয়ে খেলে তার কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
২) কারিপাতা:
শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে কারিপাতা। খালি পেটে এই পাতা চিবিয়ে খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও তা বিশেষ ভাবে কার্যকর। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই পাতাটি। ত্বক, চুলের জেল্লা ধরে রাখতেও সাহায্য করে কারিপাতা।
৩) তুলসীপাতা:
সর্দিকাশি, সংক্রমণজনিত রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হওয়া প্রয়োজন। এই কাজে তুলসীপাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের প্রাচুর্য রয়েছে তুলসীপাতায়। হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই পাতাটি খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে।
৪) পালংশাক:
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজের সম্ভার হল পালংশাক। ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফোলেটের মতো খনিজ রয়েছে এই শাকে। আবার, ভিটামিন এ, সি, কে-ও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। পালংশাক সাধারণত রান্না করেই খাওয়া হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই শাকের পুষ্টিগুণ শরীরে সঠিক ভাবে পৌঁছে দিতে হলে তা কাঁচা খাওয়াই ভাল।
৫) সজনেপাতা:
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ সজনেপাতা রয়েছে হরেক গুণ। খালি পেটে এই পাতাটি খেলে বিপাকহার ভাল হয়। বিপাকক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত শারীরবৃত্তীয় নানা কাজ সঠিক ভাবে পরিচালিত হলে শরীর সামগ্রিক অর্থেই সুস্থ থাকে।