১ জানুয়ারি থেকে কর্মচারীরা পাবেন বাড়তি ডিএ-র টাকা। সম্প্রতি বালভবনে মেয়র ডাঃ শোভা সিকারওয়ারের সভাপতিত্বে মেয়র ইন কাউন্সিল (এমআইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এমআইসি সদস্যরা জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মতো কর্পোরেশনের কর্মচারীরাও ১ জানুয়ারি থেকে সপ্তম বেতন স্কেলে মহার্ঘ ভাতা পাবেন।
ষষ্ঠ বেতন স্কেলে বেতন প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের পেনশনভোগীদের পেনশনের সঙ্গে ডিআর প্রদানের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। এদিকে সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, মধ্যপ্রদেশে সরকারি কর্মচারীদের বেতন, ভাতা বৃদ্ধি ইত্যাদিতে নানা সমস্যা হচ্ছে। এমনকী কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অবসর গ্রহণের পর পেনশন প্রদানেও উল্লেখযোগ্য বিলম্ব হচ্ছে। এই নিয়ে মুখ খোলেন সেই রাজ্যের ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস দফতরের কমিশনার এবং পেনশন ডিরেক্টরেট।
ডিএ এবং বেতন বৃদ্ধিতে বিলম্ব প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস দফতরের কমিশনার এবং পেনশন ডিরেক্টরেট জানান, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ডেটা আপডেট না হওয়ার কারণে এই সমস্যাগুলি তৈরি হচ্ছে। এসব বাধা দূর করতে হলে কর্মচারীদের তথ্য আপডেট করতে হবে বলে জানান তিনি। এই নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের সমস্ত সরকারি বিভাগের কর্মীদের তাঁদের নিজেদের জন্ম তারিখ, আধার নম্বর, বিভাগে নিয়োগের তারিখ, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর আপডেট রাখতে বলা হয়েছে। এই আপডেটেড তথ্য ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের কমিশনার এবং পেনশন অধিদফতরে পাঠাতে হবে। বেতন ভাতা, মহার্ঘ ভাতা, বেতন বৃদ্ধি এবং পেনশন সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য জুড়ে কর্মচারীরা যে সমস্যায় পড়ছেন, তা এতে মিটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজ্যের ট্রেজারি এবং অ্যাকাউন্টস কমিশনার এই নিয়ে বলেছেন যে IFMIC পোর্টালে সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের রেকর্ড রাখতে হবে। এর জন্য কর্মীদের আপডেটেড তথ্য থাকা প্রয়োজন। এটি লক্ষণীয় যে ট্রেজারি এবং অ্যাকাউন্টস বিভাগ ইতিমধ্যে পরিষেবা রেকর্ড সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে যে পরিষেবার রেকর্ড বজায় রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানের (ডিডিও)।
রাজ্যের কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের ডেটাবেস ইন্টিগ্রেটেড ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (IFMIS) মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে। এই সিস্টেমে, পরিষেবা রেকর্ডের ভিত্তিতে ডেটা আপডেট করা হয়। এর আগে কয়েক দশকের পুরোনো পদ্ধতি ব্যবহার করে সার্ভিস রেকর্ড রাখা হত। এবং তাতে অনেক অনিয়ম ছিল। নতুন প্রযুক্তিতে কর্মচারীদের আর সমস্যার মুখে পড়তে হবে না।