আরজি কর হাসপাতালে তরুনীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনায় দোষীর ফাঁসির শাস্তি চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দকে টেলিফোনে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই ঘটনায় ফাস্টট্র্যাক আদালতে ফাঁসির আবেদন জানানো উচিৎ। পাসাপাশি খোলামনে এও জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না থাকলে অন্য কোনও এজেন্সির দ্বারস্থও হতে পারেন আন্দোলনকারীরা। এর একমাত্র কারণ, সরকার উপযুক্ত তদন্ত চায়।
মমতার কথায়, ‘‘আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যু ন্যক্কারজনক এবং অমানবিক। আমার মনে হচ্ছে, যেন নিজের পরিবারের কাউকে হারিয়ে ফেলেছি। এই ঘটনাকে কখনওই সমর্থন করা যায় না। জুনিয়র চিকিৎসকেরা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তা সঙ্গত বলেই আমি মনে করি। আমি ওদের দাবির সঙ্গে একমত।’’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, শুক্রবার ঝাড়গ্রাম থেকে ফেরার অথে তিনি রেই মর্মান্তিক খবর পান। তারপরেই ওই তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবার সঙ্গে ফোন করে কথা বলেন। দোষীদের চিহ্নিত করে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ফাস্টট্র্যাক আদালতে এই মামলা তুলতে এবং প্রয়োজনে ফাঁসির আবেদন জানানোর নির্দেশ তিনি প্রশাসকদের দিয়েছেন একথাও জানান।
এই মামলায় রাজ্য সরকারের পুলিশের প্রতি আস্থা না থাকলে আন্দোলনকারীরা যে কোনও এজেন্সির কাছে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন মমতা। কারণ, সরকারের লক্ষ্য উপযুক্ত তদন্ত।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে।