অবশেষে আরজি করের ঘটনা নিয়ে পথে নেমেছে বিজেপি। তবে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ যতখানি মানুষের মনে দাগ কেটেছে ততখানি দাগ কাটতে পারেনি তাদের আন্দোলন। তাই রাজ্য বিজেপিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের নির্দেশ, আন্দোলন করলে তাকে আন্দোলনের চেহারা দিতে হবে। লোকদেখানোবিক্ষোভ চলবে না।

ফলে বুধবার থেকে পাঁচ দিনের ধর্না নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বু‌ধবার তিনি বলেন, ‘‘আমরা তো আন্দোলনেই রয়েছি। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের অপসারণ এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের আগে আমাদের আন্দোলন থামবে না।’’

আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রথম থেকেই আন্দোলন চালাচ্ছে সিপিএম সহ বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন। অনেক বেশি পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। বিজেপি আটকে থেকেছে বিধানসভা চত্বরে বিরোধী দলনেতার বিধায়কদের নিয়ে বিক্ষোভে। ছোটখাটো কিছু মিছিলে হেঁটেছেন সুকান্ত-সহ অন্য রাজ্য নেতারা। ডার্বি বাতিলের পরের প্রতিবাদেও বিজেপির কোনও নেতাকে দেখা যায়নি। কল্যাণ চৌবে গেলেও তিনি আইএফএ সভাপতি হিসাবে গিয়েছিলেন। কিন্তু সিপিএম-সহ বিভিন্ন বাম যুব সংগঠনের লোকজন দুই প্রধানের জার্সি পরে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন প্রতিবাদে শামিল হতে।

মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যের নেতাদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানেই বলা হয় এ ভাবে লোকদেখানো আন্দোলন করলে হবে না। আন্দোলন করলে তা আন্দোলনের মতো করতে হবে।

শ্যামবাজারে পাঁচ দিনের ধর্না পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহকে। স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের দায়িত্ব পান পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। আদালতের নির্দেশ মেনেই কর্মসূচি চালানো হবে।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে হাজির না থাকলেও ধর্নামঞ্চে আসাব কথা রয়েছে শুভেন্দুর। আসবেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। বৃহস্পতিবার তিনটি মিছিলের অনুমতি পাওয়া গেলে তিন মুখ হবেন সুকান্ত, শুভেন্দু এবং দিলীপ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here