আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। আরজি কর হাসপাতাল এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, দু’জনের বিরুদ্ধেই হয়েছে এফআইআর। এবার কি তবে আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন সন্দীপ? উঠছে প্রশ্ন। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তভার ইতিমধ্যেই হাতে নিয়েছে সিবিআই। শনিবার সকালে ওই মামলার নথিপত্র তাদের হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকারের সদ্য গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)।
গত ৯ অগস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে তাঁকে। সেই নিয়ে হইচই পড়েছে গোটা দেশে। এই আবহে অভিযোগ উঠেছে, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি চলেছে। সেই নিয়ে গত ১৬ অগস্ট রাজ্য সরকারের তরফে একটি সিট গঠন করা হয়েছিল। নেতৃত্বে ছিলেন আইপিএস অফিসার প্রণব কুমার।
রাজ্য পুলিশের সিটের উপর আস্থা নেই, এই দাবিতে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তভার ইডিকে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলায় শুক্রবারই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চ জানিয়েছিল, একাধিক সংস্থা তদন্ত করলে বিষয়টি আরও জটিল ও সময়সাপেক্ষ হতে পারে। এর পরেই সিবিআইকেই আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তভার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত।
আরজি কর কলেজ ও হাসপাতালে একাধিক বেনিয়মের তত্ত্ব আদালতে তুলে ধরেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। মর্গ থেকে দেহ উধাও হওয়ার অভিযোগ থেকে শুরু করে ‘মেডিক্যাল ওয়েস্ট’ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে সন্দীপের ভূমিকা নিয়েও। তাঁর বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। তিনিই আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডি ও সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করাতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ বার সেই মামলা হাতে নিয়ে সিবিআই। তাদের হাতে নথি তুলে দিয়েছে সিট। তবে কি বিপাকে পড়তে চলেছেন সন্দীপ? ইতিমধ্যে টানা ন’দিন সিজিও দফতরে গিয়ে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন সন্দীপ। শনিবারও তাঁকে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। সিবিআইকে তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর অনুমতি দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।