দূর্বা ঘাস ভগবান গণেশের প্রিয়। হিন্দু ধর্মে দূর্বা পুজো এবং অনেক শুভ কাজে ব্যবহার করা হয়। দূর্বার স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর।
দূর্বা ঘাসে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, অ্যাসিটিক অ্যাসিড এবং অ্যালকালয়েডের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, দূর্বাতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এটি আয়ুর্বেদে অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। লিভার, যৌন ও পাকস্থলী সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করতে দূর্বা উপকারী। আসুন জেনে নিই এই ঘাসের উপকারিতা।
দূর্বা ঘাস অনাক্রম্যতা শক্তিশালী করতে ব্যবহৃত হয়। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। দূর্বা পিষে জলে মিশিয়ে পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এটি নিয়মিত সেবন করলে অনেক রোগ এড়ানো যায়।
গণপতি বাপ্পার পুজোয় নিবেদিত দূর্বা ঘাস ডায়াবেটিসে উপকারী বলে মনে করা হয়। দূর্বা হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি সকালে খালি পেটে দূর্বা ঘাস ও নিমের রস একসঙ্গে পান করা হয়, তাহলে ডায়াবেটিস থেকে উপশম পাওয়া যায়।
দূর্বার রসকে সবুজ রক্তও বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন এটি খেলে রক্তাল্পতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দূর্বা শরীরে প্রবেশ করে লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর নিয়মিত সেবন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় এবং রক্ত পরিশুদ্ধ করতে কাজ করে।
খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হয়। এমন অবস্থায় নিয়মিত সকালে খালি পেটে দূর্বার জুস খেলে শরীরে উপস্থিত টক্সিন দূর হয়ে যাবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যাও পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে।
দূর্বা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল বলে মনে করা হয়। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। দূর্বার ব্যবহার ত্বকের ফুসকুড়ি, চুলকানি, একজিমা এবং সোরিয়াসিসের ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে ঘাসের রসে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগালে সংক্রমণ সেরে যায়।