শীতের সময় বাড়িতে নানা রকমে খাবার বানানো হয়। তবে সারা বছরের থেকে কেক, পেস্ট্রি, কুকিজ়ের দেখা মিললেও শীত এলেই যেন তাদের কদর কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অনেকে আবার শীতের আমেজে বাড়িতেই বেকিং শুরু করেন। আপনিও কি এ বছর বাড়িতেই কেক বানানোর কথা ভাবছেন? বেকিং করার আগে জেনে নিন বেকিংয়ের সাতকাহন।
১) উপকরণগুলি যেন ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা দুধ বার করেই কেক বানাতে শুরু করবেন না। এতে কেক কখনওই ফুলবে না। বেকিংয়ের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা সঠিক হওয়া ভীষণ জরুরি। যেমন অভেনের তাপমাত্রা একটু বেশি হয়ে গেলেই মাফিনের বদলে কুকিজ় তৈরি হয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না। তাই কোন তাপমাত্রায় বেক করবেন, সেটা ভাল করে জেনে নেওয়া জরুরি।
২) বেকিংয়ের ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাণে ময়দা, চিনি, মাখনের ব্যবহার খুব জরুরি। উপকরণের মাত্রা ভুলভাল হয়ে গেলেই দোকানের মতো কেক আর হবে না। উপকরণ মাপার জন্য ‘বেকিং কিট’ কিনতে পাওয়া যায়। বেকিংয়ের শখ থাকলে সে রকম একটি কিট কিনে নিতে পারেন। প্রণালী ঠিক করে জেনে নিয়ে তবেই কেক বানানো শুরু করুন।
৩) বেকিংয়ের ক্ষেত্রে সময়ের হিসেব রাখাটাও ভীষণ জরুরি। কেক কত ক্ষণ বেক করলে নরম তুলতুলে হবে কিংবা কুকিজ় কত ক্ষণ বেক করলে মুচমুচে হবে, সেটা জানা জরুরি।
৪) বেকিংয়ের আগে সব উপকরণ হাতের কাছে গুছিয়ে তার পরেই কাজ শুরু করবেন। তার পর উপকরণগুলি আগে থেকেই মেপে রাখুন। এই নিয়ম মানলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। বেকিং পাউডার কিংবা বেকিং সোডা খুব বেশি রান্নায় ব্যবহার করা হয় না। খুব বেশি পুরনো হয়ে গেলে এগুলি না ব্যবহার করাই শ্রেয়।
৫) বেকিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অভেনটি ‘প্রি হিট’ করা। অনেকেই প্রেসার কুকারে কেক তৈরি করেন। সে ক্ষেত্রেও কুকারটি গরম করে নিতে ভুলবেন না।
৬) অনেকেই মনে করেন, অনেক ক্ষণ ধরে মিশ্রণটি ফাটালে কেক নরম হবে। এই ধারণা একেবারেই ভুল। চিনি এবং সব তরল উপকরণ খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। ময়দা দিয়ে খুব বেশি ক্ষণ ফেটানোর প্রয়োজন নেই। ময়দা সব উপকরণের সঙ্গে ভাল করে মিশে গেলেই কেক বানানো শুরু করতে পারেন।
৭) প্রথম বার বেক করলে ঠিক মতো রেসিপি মেনে চলুন। ভুল কম হবে। রান্নার সময় নিজে থেকে টুকটাক বদল আনার সুযোগ থাকে, তবে বেকিংয়ে প্রণালী এ দিক থেকে ও দিক হয়ে গেলেই মুশকিল।