সুগার এখন বয়স মানে না। প্রতিটি বাড়িতেই কারও না কারও এই সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে বিশ্বের প্রায় ২০ কোটি মহিলার রক্তে শর্করার আধিক্য রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র হিসাব তা-ই বলছে।

নেপথ্য কারণ অনেক। এক দিকে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অন্য দিকে হাই ক্যালোরি ডায়েট— এই দুইয়ের মিলিত ফল বাড়তি ওজন। তবে শুধু ওজন বাড়তে দেখলেই তো যে কোনও মহিলাকে ‘ডায়াবেটিক’ বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না। কী কী দেখলে সতর্ক হবেন?

অনিয়মিত ঋতুস্রাব:

রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলে হরমোনের ক্ষরণে বিঘ্ন ঘটে এবং কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়। যার প্রভাব পড়ে ঋতুচক্রের উপরেও। ‘আমেরিকান জার্নাল অফ অবস্টেট্রিক্‌স অ্যান্ড গায়নেকোলজি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ডায়াবিটিস রোগীদের মধ্যে ঋতুচক্র অনিয়মিত হওয়ার প্রবণতা বেশি।
বার বার প্রস্রাব পাওয়া:

ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘পলিডিপসিয়া’। রক্তে শর্করা বাড়তির দিকে থাকলে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। ‘ডায়াবিটিস কেয়ার জার্নাল’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পুরুষ ডায়াবেটিকদের তুলনায় মহিলা ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি।

মূত্রনালির সংক্রমণ:

মূত্রনালির সংক্রমণ নানা কারণে হতে পারে। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তির দিকে থাকলে ঘন ঘন সেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ‘জার্নাল অফ ডায়াবিটিস অ্যান্ড ইট্‌স কমপ্লিকেশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ডায়াবিটিস থাকলে মহিলাদের ক্ষেত্রে মূত্রনালির সংক্রমণে ভোগার আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়ে যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here