সম্প্রতি স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন এ আর রহমান। শোনা যাচ্ছে গিটারিস্ট মোহিনী দে-র সঙ্গে তাঁর প্রেমের কারণেই নাকি এই বিচ্ছেদ। যদিও সেই সব গুঞ্জনে জল ঢেলেছেন রহমানের স্ত্রী সায়রা বানু নিজেই। এমনকী মোহিনীও রহমানকে ‘পিতৃসম’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে বিবাহ-বিচ্ছেদের পর প্রকাশ্যে এসে প্রথমবার মুখ খুললেন অস্কারজয়ী সঙ্গীতশিল্পী। সম্প্রতি গোয়ায় ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়ার ভারতে মিউজিক্যাল থিয়েটারের প্রচারের বিষয়ে কথা বলেছেন। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে মাস্টারক্লাসে, মানুষের জীবনে সঙ্গীতের প্রভাব সম্পর্কে কথা বলেন সঙ্গীতশিল্পী। রহমানের কথায়, একজনের শারীরিক চাহিদা পূরণের পরিবর্তে, কেউ নিজেকে নিরাময়ের জন্য সঙ্গীতের সঙ্গে জুড়ে রাখতে পারে।
এ আর রহমান মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘এখন আমাদের অনেকেরই মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না। অবসাদ ঘিরে ধরে। কারণ আমার মনে হয়, আমাদের সবার মধ্যেই একটা শূন্যতা রয়েছে। সেই শূন্যতা দূর করতে পারে গল্পকাররা, কখনও আবার দর্শন পড়ে, কিংবা বিনোদনের মাধ্যমে, কখনও আবার ওষুধ খেয়ে তা দূর করা হয়। তবে হিংসা, যৌনতার মতো শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদা মেটানোই জীবনের সব নয়। জীবনের পরিধি এর থেকে আরও অনেক বড়।’
এর আগেও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ খুলেছিলেন এ আর রহমান। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘যখন আমি ছোট ছিলাম তখন আমাকে একবার আত্মহত্যার চিন্তা ঘিরে ধরেছিল। আমার মা বলতেন, যখন তুমি অন্যের জন্য বাঁচবে, তখন তোমার মধ্যে এই চিন্তাগুলি আসবে না। অন্যের জন্য বাঁচার অর্থ আপনি স্বার্থপর নন। সেসময় আমি মায়ের কথাগুলিই গুরুত্ব দিয়েছিলাম।’