বাঙালির কাছে উৎসব মানেই নানা রকমের খাওয়া-দাওয়া ও ঘুরতে যাওয়া। বর্তমান সময় ব্রণ তো কাল ফুস্কুড়ি, পরশু লালচে র্যাশ ছেলে-মেয়েদের হয়ে থাকে। পুজোর আগে যদি ত্বকে এমন ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে কি আর ভাল লাগে? ত্বকের দাগছোপ তুলতেই শুধু নয়, ত্বকের জেল্লাও ফেরাতে পারে কয়েক টুকরো আপেল।
অবাক হচ্ছেন তো! আপেলের পুষ্টিগুণের কথা কারও অজানা নয়। আপেলে পেকটিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। পেকটিন অন্ত্রের যত্ন নেয়। ফাইবার সমৃদ্ধ আপেল হজমশক্তি উন্নত করে। আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনেও সাহায্য করতে পারে আপেল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে পারে।
আপেল দিয়ে কীভাবে বানাবেন ফেস মাস্ক?
রুক্ষ ত্বকের জন্য
একটা গোটা আপেল থেঁতো করে পেস্ট করে নিন, তার সঙ্গে মেশান এক চামচ টক দই ও এক চামচ লেবুর রস। সব ক’টি উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিন। মুখ ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে রেখে দিন ২০ মিনিট। তার পর ধুয়ে নিন। আপেলের সঙ্গে দইয়ের ল্যাকটিন ও লেবুর রস মিশে স্ক্রাবারের কাজ করবে। ত্বকের মৃত কোষ তুলে ত্বক নরম রাখবে, জেল্লা ফেরাবে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
একটি গোটা আপেল পিষে নিন, এবার একটি গোটা শশা কুরিয়ে নিয়ে রস বার করে নিন। আপেলের সঙ্গে শশার রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ভাল করে মুখে, গলায়, দুই হাতে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
এই ফেস প্যাক ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা থেকে রেহাই দেবে, ত্বকের জ্বালা ভাব কমাবে। অকালে বলিরেখা পড়তে দেবে না। পুজোর আগে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক ঝলমল করবে। কালচে দাগছোপ উঠে যাবে।
নির্জীব ত্বকের জন্য
আপেল ছোট ছোট করে কেটে মিক্সারে পেস্ট করে নিন। এবার তার সঙ্গে মেশান ২ চা চামচ দুধ ও ১ চা চামচ ওট্মিলের গুঁড়ো। এবার এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
আপেলের এই ফেসপ্যাক ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রাখবে, মৃত কোষ দূর করবে, ত্বকের দাগছোপও তুলে দেবে। ত্বক বেশি শুষ্ক হলে এই ফেস প্যাক লাগানোর পরে ভাল সিরাম বা ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নেবেন।