মহাকুম্ভে শুরু হয়েছে বিশেষ স্নান। চলতি বছর শিবরাত্রি অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ শেষ শাহি স্নান। সংক্রান্তিতে শাহি স্নানের জন্য ত্রিবেণী ঢল নেমেছে কোটি কোটি পুণ্যার্থী। এরই মধ্যে কুম্ভের মহাযজ্ঞে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ওড়িশার বাবা আর্তত্রাণা।

সংবাদসংস্থা এএনআই প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই সাধুর পায়ের স্পর্শে নাকি ক্যান্সার সহ যাবতীয় রোগ উধাও হয়ে যায়। তাই দেশের হাজার হাজার হাসপাতাল ছেড়ে এবার রোগ সারাতে বাবা আর্তত্রাণার কাছে এখন শয়ে শয়ে ভক্তের ভিড় লেগেই রয়েছে। এমনকি এই ক’দিনে ভাইরাল হওয়া সাধুদের রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন তিনি।

সংবাদ সংস্থাকে বাবা আর্তত্রাণা বলেছেন, “আমি ২০০৭ সাল থেকে এই ঐশ্বরিক চিকিৎসা করে আসছি। কিছু খাওয়ার বা পান করার দরকার নেই, এমনকি কোনও ওষুধও খেতে হবে না। কেবল আমার পায়ের স্পর্শেই সব রোগ সেরে যাবে।” বাবা আর্তত্রানা আরও দাবি করেছেন যে তিনি করোনা মহামারী চলাকালীন লক্ষ লক্ষ মানুষকে কেবল একটি সাধারণ স্পর্শে নিরাময় করেছিলেন।

বাবা আর্তত্রাণার দাবি দূরের ভক্তদের তাঁর কাছে আসতে হবে না। তাঁর উচ্চারিত মন্ত্র শুনলেও একই ফল হবে। তাঁর কথায়, “ফোনে কথা বলে বা ইউটিউবে আমার মন্ত্র শুনেই বিশাল বিশাল সবরোগ নিরাময় হয়। যদি কেউ দূরে থাকে, তবে তাঁরা ফোনে কথা বলে সুস্থ হয়ে যাবে। তাঁকে আমি মন্ত্র শোনালেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।” তিনি দাবি করেছেন যে তিনি ভগবান শিবের আশীর্বাদ পেয়েছেন এবং তার সাফল্যের হার ৯৯ শতাংশ।

শুধু ওড়িশা বা দেশের মধ্যেই নয়, রোগীদের সুস্থ করে তুলতে বিদেশেও গিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাবা আর্তত্রানা।

প্রয়াগরাজে সাধু-সন্তদের আখড়ার ধরা পড়েছে নানা রঙের ছবি। কেউ হিমশীতল প্রয়াগে বসে রয়েছে ভষ্ম মেখে, কেউ আবার অক্সিজেন সিলিন্ডারকে সঙ্গী করেই পৌঁছে গিয়েছেন আখড়ায়। দেশ-বিদেশ থেকে পুণ্যার্থীরা সেখানেই ভিড় করছেন বাবাদের আশীর্বাদ নিতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here