মহমেডানের কোচ নিয়ে দিনভর নাটক চলল লালসরণির ক্লাবে। আন্দ্রে চেরনিসভ আকস্মিকভাবে মহামেডানের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করে চলে যান নিজের দেশ রাশিয়ায়। যদিও বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানান ক্লাব কর্তারা।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তাই ডার্বির আগে মহমেডান কোচের এই সিদ্ধান্ত দলকে যেমন বিপাকে ফেলেছে তেমনই হতাশ করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে। অবশেষে এই প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে ক্লাবকে বাঁচাতে আসরে নামেন মহমেডানের দীর্ঘদিনের ইনভেস্টার সংস্থা বাঙ্গারহিলের কর্তা দীপক কুমার সিং। অপর ইনভেস্টার শ্রাচীর অফিসে দীর্ঘ বৈঠকের পর এবং কোচের সঙ্গে ভিডিও কলে আলোচনার পর আন্দ্রে চেরনিসভকে পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করতে রাজি করান ইনভেস্টররা।

কিন্তু মজার বিষয় হল, এই সিদ্ধান্ত মহমেডানের মিডিয়া গ্রুপে জানানো হলেও ক্লাবকে রাখা হয়েছিল সম্পূর্ণ অন্ধকারে। মহমেডানের সাবেক কর্তারা জানান তাঁরা এই বিষয়ে অবগতই ছিলেন না। অন্যদিকে, খেলোয়াড়দের বেতন সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে বলে জানান দীপক কুমার সিং। তিনি বলেন, “আজ থেকেই খেলোয়াড়দের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।” এরপর দীপক সিং ক্লাবের অফিসিয়াল বক্তা হিসেবে মহম্মদ কামারউদ্দিনের নাম সাংবাদিকদের সামনে আনেন। তখনই শুরু হয় ঝামেলা!

সচিব ইস্তেয়াক আহমেদ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং প্রতিবাদ জানান। গলার স্বর উঁচু করে সভাপতি আমিরউদ্দিন ববি’কে তিনি প্রশ্ন করেন, “সচিবের উপস্থিতিতে কেন কার্যকরী সভাপতি’কে ক্লাবের অফিসিয়াল বক্তা হিসেবে ঘোষণা করা হল?” সভাপতির জবাব, “তুমি নিয়মিত মাঠে যাও না এবং দলের বিষয়ে খোঁজখবরও রাখো না। সেই কারণে কামার ভাইকে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।” এই ভাবে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে সভাপতি চুপ করিয়ে দেন ইস্তেয়াক আহমেদ’কে। সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করেন মহমেডানের আধিকারিকরা। কিন্তু এর মাঝেই ক্লাব ছেড়ে বেরিয়ে যান সচিব ইস্তিয়াক। গাড়িতে ওঠার আগে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানান, এ সব কিছু রাজনীতি!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here