রহস্যময় এক সাধু সম্প্রদায় হল অঘোরীরা। জেনে নিন এই রহস্যময় অঘোরী বাবাদের সম্পর্কে। এঁরা মহাদেবের উপাসক হলেও অঘোরী বাবাদের মহাদেবের আরাধনা করার পদ্ধতি অনেকটাই আলাদা। অঘোরী বাবারা মূলত শ্মশানেই থাকেন। চিতাভষ্ম সারা গায়ে এরা মেখে থাকেন।

শিবের অঘোরনাথ রূপেরই পুজো করেন অঘোরী সাধুরা। শিবের ভৈরবনাথ রূপেরও এঁরা আরাধনা করেন। মহাদেবের মতোই এঁদের শ্মশানে বাস, গায়ে ভষ্ম মেখে থাকেন। মাথায় জটাজুটো এবং রুদ্রাক্ষ ধারণ করে থাকেন এই অঘোরী বাবারা।

অনেকে বলেন যে অঘোরী বাবারা মানুষের কাঁচা মাংস খান। শ্মশানে মৃতদেহের শরীর থেকে কাঁচা মাংস নিয়ে তাঁরা নাকি খেয়ে থাকেন। এর ফলে তাঁদের অঘোরী মতে সাধনার ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়।

কারও কারও মতে অঘোরী সাধুরা মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। এভাবেই তাঁরা একসঙ্গে শিব ও শক্তির সাধনা করেন বলে মনে করা হয়। মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে থেকেও যদি মহাদেবের প্রতি মনোনিবেশ করতে পারেন, তবে তাঁরা সাধনার উচ্চমার্গে প্রবেশ করতে পারেন বলে মনে করা হয়।

অন্য সাধুদের মতো অঘোরী বাবারা ব্রহ্মচর্য পালন করেন না। শুধু মৃতদেহ নয়, জীবন্ত মানুষের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক এঁদের সাধনার অঙ্গ। বিশেষ করে মহিলাদের ঋতুচক্র চলাকালীন তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এঁরা। অঘোরী বাবারা সব সময় সঙ্গে নরমুণ্ড রাখেন।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here