দিন যত বাড়ছে আরজি কর কাণ্ডে আসছে নতুন নতুন তথ্য। অবশেষে ৮৭ দিনের মাথায় আজ শুক্রবার ১২৫ পাতার চার্জশিট আলিপুর আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। যেখানে নাম রয়েছে আরজি কর হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। একই সঙ্গে এই মামলায় ধৃত আরও চারজনের নাম রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, আরজি করে (RG Kar Hospital Scam) কীভাবে সন্দীপ ঘোষ রাজ চালাতেন সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চার্জশিটে জমা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কীভাবে সরকারি টাকা নয়ছয় করতেন এবং ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে যেত সেই সংক্রান্ত তথ্যও উল্লেখ রয়েছে বলে খবর। শুধু তথ্য নয়, এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রমাণ্য নথি-ভিডিও ফুটেজ, সাক্ষীদের বক্তব্য আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে বলেই খবর।
আরজি করে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পাশাপাশি বিপুল আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে নেমেই দফায় দফায় জেরা শেষে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। মামলার সূত্র ধরে বিপ্লব সিংহ, আফসার আলি এবং সুমন হাজরাকেও গ্রেফতার করা হয়। এমনকি এই মামলায় তৃণমূলের ছাত্রনেতা আশিস পাণ্ডেকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। ধৃত এই ব্যক্তির সঙ্গে আরজি কর হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ যোগ পান তদন্তকারীরা। এমনকি আশিসকে সামনে রেখেই আর্থিক দুর্নীতির যাবতীয় কেলেঙ্কারি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
ফলে তার নামও সিবিআই’য়ের জমা দেওয়া চার্জশিটে আছে বলেই খবর। বর্তমানে সবাই জেলে রয়েছে। একাধিক জামিনের আবেদন জানালেও খারিজ হয়ে যায়। বলে রাখা প্রয়োজন, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হলে এক চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। কর্তব্যরত অবস্থাতেই তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।
তোলপাড় হয় বাংলা। ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআই’য়ের হাতে। যদিও ঘটনার পরেই কলকাতা পুলিশ এক সিভিক ভল্টানিয়রকে গ্রেফতার করে। সেই সময় হাসপাতালের কোট কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে আসে।আর সেই ঘটনাতেও কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন নন মেডিকেল সুপার আক্তার আলীর সিজিও বয়ান রেকর্ড করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তিনি প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ঘটনার তদন্তে সিবিআই। পাশাপাশি ইডির তরফেও আজ তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হল। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।