চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের বিচার চেয়ে পথে নেমেছে গোটা নাগরিক সমাজ। হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার-দীর্ঘ ৪২ কিমি রাস্তা জুড়ে রিলে মশাল মিছিল। হুইলচেয়ারে বা ওয়াকার নিয়ে পথে নেমেছেন প্রবীণরাও। শ্যামবাজারে নেতাজির মূর্তির পাদদেশে মশাল তুলে দেওয়া হল নির্যাতিতার পরিবারের হাতে। সেখানে বক্তব্য রাখলেন নির্যাতিতার মা।

নির্যাতিতার মা বললেন, “৯ তারিখের পর থেকে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। মুখে কোনও কথা আসে না। কারণ, বুকের ব্যথা মুখ দিয়ে ব্যক্ত করা যায় না। ব্যথাটা বুকেই রয়েছে। তবে, একটাই আশা যে এত সাধারণ নাগরিক আমার পাশে আছেন, সবাই আমার মেয়েকে তাঁদের পরিবারের মেয়ে ভেবে আন্দোলনে নেমেছেন। আর জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁরা তো আমার ছেলে-মেয়ে। তাঁরা যেভাবে ঝড়ে বৃষ্টি-বৃষ্টিতে রোদে পুড়ে কষ্ট করে এতদিন ধরে লড়াই চালিয়ে গেছেন, তাঁদের তো আমি কী বলব …ছোট না হলে প্রণামই করতাম। তাঁরা এখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন…তাঁরা তো জনগণের সেবার জন্যই ডাক্তার হন। আজ সমাজই তাঁদের রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন…সমাজের সেবা করবেন…আন্দোলনও চালিয়ে যাবেন। এটাতে আমি খুব খুশি হয়েছি। তাঁরা সেবা করুক…আবার আন্দোলনও চালিয়ে যাক। যাতে আমার মেয়ের বিচার পাই। যতদিন না বিচার পাই, ততদিন এভাবেই রাস্তায় থাকুন। আমার পাশে থাকুন।”

শুক্রবারও রাজপথ সাক্ষী থেকেছে জনসমুদ্রের। একদিকে স্বাস্থ্যভবন থেকে CGO পর্যন্ত মিছিল করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক থেকে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৪২ কিলোমিটার রাস্তা মশাল হাতে মিছিল করল নাগরিক সমাজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here