প্রতি বছর শ্রাবণের পূর্ণিমাতে পালন করা হয় রাখী পূর্ণিমা। এই বিশেষ দিনে বোন বা দিদিরা ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে তাঁদের জীবনের শুভ কামনা করেন। অন্যদিকে, ভাইয়েরা বোন বা দিদিকে দেয় অশুভ থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি। দিনটি ভাই-বোনের ভালবাসা ও সম্পর্ক উদযাপনের দিন।

এই রাখী পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করেই জড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু পৌরাণিক বিশ্বাস ও গল্প।

কথিত রয়েছে, বামন অবতার রূপে বিষ্ণু ত্রিলোক বিজেতা অসুর রাজা বলির কাছ থেকে ত্রিলোক দান হিসাবে নেন। এরপর রাজা বলি বামনের পা নিজের মস্তকে স্থাপন করেন ও বিষ্ণুকে নিজের প্রাসাদে থাকার অনুরোধ করেন। বিষ্ণু সম্মত হয়ে সেই বর প্রদান করেন। অন্যদিকে এতে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন বিষ্ণুপত্নী লক্ষ্মী। তিনি নারদ মুনির পরামর্শে রাজা বলির হাতে সুতো বেঁধে তাঁর কাছে বিষ্ণুকে উপহার চান ও পুনরায় বিষ্ণুকে গোলকধামে প্রতিষ্ঠা করেন।

আরও একটি কথিত কাহিনী রয়েছে যা মহাভারতের। কৃষ্ণ শিশুপালকে হত্যা করার জন্য যুদ্ধ করছিলেন, তখন কৃষ্ণের তর্জনী কেটে রক্তপাত শুরু হয়। দ্রৌপদী তার শাড়ির আঁচলের একটা টুকরো ছিঁড়ে শ্রীকৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। এরপর শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন। কৌরবদের দ্যুতক্রীড়া সভায় তিনি দ্রৌপদীকে লাঞ্ছনা থেকে রক্ষা করেন। দুর্যোধন বস্ত্রহরণ করলে কৃষ্ণের আশীর্বাদেই সেই বস্ত্র শেষ হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here