কাল সরস্বতী পুজো। বীনাপাণির আরাধনায় রত হবেন আট থেকে আশি। সেই কোন কাল থেকে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে কাঁচা হলুদ মেখে স্নান করার রীতি চলে আসছে। হলুদ ছাড়া দেবীর পুজোর অর্ঘ্যও অসম্পূর্ণ। অনেক মায়েরা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সরস্বতী পুজোর দিন সকালে স্নানের জলে নিমপাতা ও তুলসী পাতা দিয়ে দেন। কেন এই নিয়ম জানেন?
বলা হয়, এতে জলের শুদ্ধিকরণ ঘটে। এছাড়াও স্নান করার আগে মুখে এবং গায়ে নিম ও কাঁচা হলুদ বাটা মাখতে হয়।এতে আমাদের দেহের শুদ্ধিকরণ ঘটে এবং শরীরের কোনো রকম সংক্রমণ থেকেও এই মিশ্রণ রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।
বসন্ত কালে হয় সরস্বতী পুজো। তাই এই সময় হাম, বসন্ত হওইয়ার সময়। এই সব জীবানু যাতে শরীরে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্যই মাখানো হয় হলুদ।
হলুদ রং-কে বলা হয়ে থাকে ‘বসন্ত’। বসন্ত পঞ্চমী শীতের শেষ এবং বসন্তের শুরু সূচিত করে। এই সময় প্রকৃতিও শীতের রুক্ষতা ভুলে সেজে ওঠে বসন্তবাহারে। এই সময়ে হলুদ রঙের পোশাক পরা আমাদের জীবনের নতুন সূচনাকে নির্দেশ করে। হলুদ রং আমাদের নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা দেয়৷ পুরোনো স্মৃতি ভুলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করার অনুপ্রেরনা জোগায়। তারই সঙ্গে আমাদের শান্ত ও নিয়ন্ত্রিত রাখতে সহায়তা করে।