দেখলে বুকের রক্ত হিম হয়ে যায়, দেবী সরস্বতীর তান্ত্রিক রূপের সঙ্গে সঙ্গমরত যমন্তককে চিনে নিন

ফেলুদার ‘গ্যাংটকে গণ্ডগোল’ গল্পটি অনেকেই পড়েছেন। সেখানে সেই যমন্তক মূর্তি যাকে ঘিরে গোটা একটা খুন হয়ে গেল তাঁর কথা নিশ্চয় ভোলেননি। এই যমন্তক কে আদৌ জানেন?

যমন্তকের অপর নাম বজ্রভৈরব। এই মূর্তির নয়টি মাথা। একদম সামনের দিকের মাথাটা মোষের। সেই মস্তককে ঘিরে রেখেছে আরও ৬টি মাথা। এরপর উপরের দিকে যোগ হয়েছে আরও দুটি। গুনছেন তো কথা হল? ৯টা হয়ে গেছে প্রথম মাথাটি বাদ দিয়ে অন্য সব মাথাই মানুষের। কিন্তু তাতে মুখভঙ্গী ভয়ানক হিংস্র। মাথায় মুকুট হিসাবে রয়েছে মানুষের মাথার খুলি। গলায় মুণ্ডমালা। কোমরে কেটে আনা মানুষের হাত ও মুণ্ডু দিয়ে বানানো কোমরবন্ধনী। এই ভগবানের ষোলটা পা, তবে যে কোনো মূর্তিই সামনে থেকে দেখলে দুটো পা আছে বলেই মনে হবে, বাকি পা গুলি একই সারিতে আছে বলে চোখে পড়ে না। পায়ের নীচে রয়েছে প্রচুর পশুপাখি ও মানুষ।

যমন্তক বা বজ্রভৈরবের রয়েছে ৩৪টি হাত। তার মধ্যে দুটি হাত বাদে বাকি ৩২টিতে অস্ত্র। অন্য হাত দুটি জড়িয়ে রেখেছে প্রেয়সী তাঁরই নারী রূপের প্রতিনিধি “বজ্রবেতালি” কে। তিব্বতি ভাষায় এই দেবীর অপর নাম ‘রোলাংমা’। বৌদ্ধ বজ্রযান মতে বজ্রবেতালী দেবী সরস্বতীর তান্ত্রিক রূপ। তিনি এক শির বিশিষ্ট, হাত দুটি, তিনটে চোখ, এক হাতে খুলি দিয়ে তৈরি পান পাত্র, অপর হাতে কাটারি। বজ্রভৈরব ও বজ্রবেতালির এই সঙ্গমরত রুপকে তিব্বতি ভাষায় বলা হয় ‘ইয়াব-ইয়াম’, যার অর্থ “বাবা ও মা”। বজ্রভৈরব ও বজ্রবেতালির এই সঙ্গমরত রূপেরই আরও একটি রূপ রয়েছে। সেখানে দুজনেরই দুটি করে হাত। তাঁর নাম রক্তযমক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here