দেবী সরস্বতীর তান্ত্রিক রূপ মাতঙ্গী। দশ মহাবিদ্যার একটি রূপও এটি। বিভিন্ন সময় কালী পুজোর সময় দশমহাবিদ্যার এই রূপ তৈরি করেন শিল্পী। সেখানে দেখা যায়, কালী, তারা, ত্রিপুরাসুন্দরী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, ছিন্নমস্তা, ধূমাবতী এবং বগলামুখীকে মাতৃরূপে। দেবী মাতঙ্গী এবং দেবী কমলা পূজিতা হল কন্যারূপে। মাতঙ্গীর মতো কমলা হলেন দেবী লক্ষ্মীর তান্ত্রিক রূপ।
দেবী মাতঙ্গীর চার হাত। প্রথম হাতে বীণা, দ্বিতীয় হাতে বরাভয় বা অভয় মুদ্রা, তৃতীয় হাতে নর-করোটি এবং চতুর্থ হাতে খড়গ । দেবীর হাতের নর-করোটির উপর রয়েছে টিয়াপাখি। এই দেবীর ভোগ হল উচ্ছিষ্ট। তাই দেবী মাতঙ্গীর অপর নাম উচ্ছিষ্টা চণ্ডালিনী|
দেবী সরস্বতীর তান্ত্রিক রূপ হলেও ইনি শ্বেরত বসনা নন। পরিবর্তে রক্তরঞ্জিত বসন এঁর পরিধেয়। নারীশরীরের রজঃ দিয়ে রাঙ্গানো হয় মাতঙ্গীর বস্ত্র। রাজহঙ্গসের পরিবর্তে দেবী মাতঙ্গীর বাহন টিয়াপাখি। এই টিয়া মহাজ্ঞানী এবং ভবিষ্যৎদ্রষ্টা।
কামাখ্যা ছাড়াও ভারতের কর্ণাটকের বেলগাঁঅতে দেবী মাতঙ্গী পূজিতা হন। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশের মাদানাপাল্লেতে, তামিলনাড়ুর নাঙ্গুরে এবং মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়াতে দেবীর আরাধনা করা হয়। অসমের কামাখ্য্া মন্দিরে এই দেবী পূজিত হন। মূল মন্দিরের ভিতরে তান্ত্রিক দশমহাবিদ্যার দশ দেবীর আলাদা আলাদা মন্দির রয়েছে।